images

আইন-আদালত

ষড়যন্ত্রমূলক মামলার বিষয়ে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেব: সজল

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

২১ মে ২০২২, ১২:১৪ পিএম

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদকের পদ নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। এ মামলার পুলিশ আদালতে রিপোর্ট পাঠিয়েছে। অপরদিকে মামলা থেকে বাঁচতে পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া নিতে প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট শাখার সাধারণ সম্পাদক গাজী কামরুল ইসলাম সজল। তিনি এ মামলার প্রধান আসামি।

এছাড়া ফোরামের বিশেষ সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী সোহাগ, সহদফতর সম্পাদক কাইয়ুম, সহসাধারণ সম্পাদক রাসেল আহমেদ, সুপ্রিম কোর্ট বারের কার্যনির্বাহী সদস্য ও আইনজীবী ফোরামের সদস্য কামরুল ইসলাম এবং তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক সাগর হোসেনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৫০-৬০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন সমিতির প্রশাসনিক কর্মকর্তা রবিউল হাসান।

জানতে চাইলে গাজী কামরুল ইসলাম সজল ঢাকা মেইলকে বলেন, আমিসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এটি একটি ষড়যন্ত্রমূলক ও মিথ্যা মামলা। এ বিষয়ে আমরা পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেব।

মামলার বাদী সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সুপারিনটেনডেন্ট রবিউল ইসলাম ঢাকা মেইলকে বলেন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সেদিনের ঘটনায় মামলা করেছি। হত্যা চেষ্টার অভিযোগ এনেছি। মামলার বিষয়ে পুলিশ আদালতে প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন।
 
গত বুধবার বার ভবনে বিএনপি ও আওয়ামীপন্থী আইনজীবীদের মধ্যে সংঘর্ষে নজরুল ইসলাম প্রামানিক নামের আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবী আহত হন। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল করে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ। পরে এদিন বিকাল চারটার দিকে সুপ্রিমকোর্ট বারের এক নাম্বার হলে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির (আওয়ামীপন্থী) একাংশের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন- সুপ্রিমকোর্ট বারের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোমতাজ উদ্দিন ফকির, সম্পাদক আব্দুন নূর দুলাল, সাবেক সম্পাদক মোমতাজ উদ্দিন আহমেদ মেহেদী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমান সিদ্দিকী প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, গত ১৫ ও ১৬ মার্চ সুপ্রিমকোর্ট বার নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হয়। গণনা করা হয় পরদিন ১৭ মার্চ। নির্বাচনে ভোট গণনায় বিএনপি সমর্থিত প্যানেল থেকে সম্পাদক মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল, কোষাধ্যক্ষ, সহসম্পাদক দুইজন এবং চারজন সদস্যসহ মোট আটটি পদে এগিয়ে থাকে। অপরদিকে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সমর্থিত প্যানেল থেকে সভাপতি, দুটি সহসভাপতি এবং তিনজন সদস্যসহ মোট ছয়টি পদে এগিয়ে থাকে। কিন্তু ভোট গণনা শেষ হওয়ার পর আওয়ামীপন্থী সম্পাদক প্রার্থী আব্দুন নূর দুলাল ভোট পুনর্গণনার জন্য একটি আবেদন দিয়ে এসে নির্বাচন কমিশনের আহ্বায়ককে ভোট পুনরায় গণনা করার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। ফলে নির্বাচন কমিশনের আহ্বায়ক পদত্যাগ করেন। এজন্য দীর্ঘদিন আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা হয়নি।

মেয়াদোত্তীর্ণ কার্যকরী (২০২১-২২) কমিটির আওয়ামীপন্থী সাতজন সদস্য গত ১২ এপ্রিল নির্বাচন সাব-কমিটি গঠন করেন। ওই সাব-কমিটি ২৭ এপ্রিল সমিতির কনফারেন্স রুমে প্রবেশ করে পুনরায় ভোট গণনা করে আব্দুন নূর দুলালকে সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করে। এদিকে সুপ্রিমকোর্ট বারে নির্বাচিত বিএনপি সমর্থিত সাত সদস্য গত সোমবার এক সভায় আব্দুন নূর দুলালকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে একটি রেজুলেশন করে। বর্তমানে সুপ্রিমকোর্ট বারে চরম অচলাবস্থা বিরাজ করছে।

এআইএম/এএস