images

আইন-আদালত

আপাতত বহাল থাকছে কোটা পদ্ধতি: আপিল বিভাগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

০৪ জুলাই ২০২৪, ১০:৩৯ এএম

সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় আপাতত বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ চেম্বার আদালতের রায় বহাল রাখেন।

আপিল বিভাগ রাষ্ট্রপক্ষের উদ্দেশে বলেন, আপাতত হাইকোর্টের রায় যেভাবে আছে, সেভাবে থাকুক। রায় প্রকাশ হলে আপনারা নিয়মিত আপিল দায়ের করেন। আমরা শুনব।

প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন রেখে বলেন, আন্দোলন হচ্ছে হোক। রাজপথে আন্দোলন করে কি হাইকোর্টের রায় পরিবর্তন করবেন?

এ সময় পূর্ণাঙ্গ রায় পাওয়ার পর কোটা নিয়ে নিয়মিত আপিল করার নির্দেশ দেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। একই সঙ্গে রাজপথে আন্দোলন করে সুপ্রিমকোর্টের রায় পরিবর্তন করা যায় কি না— সেটিও জানতে চান প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। 

এদিন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। রিটের পক্ষে আদালতে উপস্থিত ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোতাহার হোসেন সাজু।

এর আগে সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় দেন উচ্চ আদালত। 

এদিকে উচ্চ আদালতের রায়ে চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহাল হওয়ায় আবারও ফুঁসে উঠেছেন কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীরা। সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি পুনর্বহাল হওয়ায় ঢাবিসহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রাজপথে নেমেছেন। তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দাবি আদায় না হলে আন্দোলন আরও তীব্র করবেন তারা। 

এর আগে দেশজুড়ে শিক্ষার্থীদের তুমুল আন্দোলনের মুখে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর সরকারি চাকরিতে নারী কোটা ১০ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ এবং জেলা কোটা ১০ শতাংশ বাতিল করে পরিপত্র জারি করে সরকার। তাতে বলা হয়েছিল, ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেডের পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে। ওইসব গ্রেডের পদে সরাসরি নিয়োগে বিদ্যমান কোটা বাতিল করা হয়।

তবে গত ৫ জুন ২০১৮ সালের জারিকৃত পরিপত্রটি এক আদেশে বাতিল করেন হাইকোর্ট। এরপর আবারও ফুঁসে ওঠে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। হাইকোর্টের এমন আদেশের পর আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে ক্যাম্পাসগুলোতে। গতকাল বুধবারও ২০১৮ সালের কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন পুনর্বহালসহ চার দফা দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীরা। এতে অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী। কোটা পদ্ধতি বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ারও প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন শিক্ষার্থীরা।

এইউ