নিজস্ব প্রতিবেদক
১৩ জুন ২০২৪, ০৬:৩৩ পিএম
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার অপহরণ মামলায় গ্রেফতার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু আদালতে বলেছেন, ‘আমাকে রাজনৈতিক কারণে ফাঁসানো হচ্ছে। আমি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার।’
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) রিমান্ড আবেদনের শুনানিতে এসব কথা বলেন তিনি। এদিন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শুনানির সময় বিচারক তোফাজ্জল হোসেন জিজ্ঞাসা করেন আসামি কিছু বলবে কিনা।
এ সময় সাইদুল করিম মিন্টু বলেন, ‘আমি নির্দোষ, আমি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার।’
সাইদুল আরও বলেন, ‘৪৬ বছরের রাজনীতিতে আমার খুন-খারাবির কোনো রেকর্ড নেই। ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে আজ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হয়েছি। এখন মনোনয়ন চাওয়ায় আমার অপরাধ হয়েছে।’
মিন্টু বলেন, ‘আমি ওয়ান ইলেভেনে গ্রেফতার হয়েছি। এরশাদবিরোধী আন্দোলনে ১৩ বার গ্রেফতার হয়েছি। মানুষের জন্য রাজনীতি করেছি। কিন্তু আমাকে রাজনৈতিক কারণে ফাঁসানো হচ্ছে।’
এর আগে মিন্টুকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে তার ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে ডিবি পুলিশ। শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত মঙ্গলবার (১১ জুন) বিকেল ৪টার দিকে রাজধানীর ধানমণ্ডি থেকে তাকে আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ— এমপি আনারকে হত্যার পর ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল গিয়াস আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবুর মোবাইল ফোনে বার্তা পাঠানো হয়। আসামিরা তার ফোনে আনারের মরদেহের ছবি পাঠায়। একই ধরনের খুদে বার্তা পাঠানো হয় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুর ফোনেও।
উল্লেখ্য, ঝিনাইদহ-৪ আসনের তিনবারের সংসদ সদস্য আনার কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। গত ১১ মে তিনি চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। প্রথমে কলকাতার বরাহনগরে তার বন্ধু স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে ওঠেন। কিন্তু সেখান থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হন। এরপর স্থানীয় থানায় জিডি করেন গোপাল বিশ্বাস। তদন্ত শুরু হয় দুই দেশে। ২২ মে সকালে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে খবর আসে— নিউটাউনের এক বাড়িতে খুন হয়েছেন এমপি আনার। এরপরেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ভারতের পুলিশের বরাত দিয়ে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এইউ