images

আইন-আদালত

অর্থপাচার মামলায় সাজা বৃদ্ধি চান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

১৭ মে ২০২২, ০৩:০৭ পিএম

বাংলাদেশের অর্থ বাইরে পাচারের বিষয়ে প্রচলিত আইনের সাজা বৃদ্ধি করার জন্য কোর্টকে বলেছেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।

মঙ্গলবার (১৭ মে) পি কে হালদারকে গ্রেফতারের বিষয়ে রুল উপস্থাপনের সময় এমন কথা জানানো হয়েছে বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে।

সাংবাদিকদের এমন কথা জানিয়ে মানিক বলেন, আসলে অর্থ পাচার আইন সাজার পরিমাণ কম। যার কারণে অপরাধীরা অপরাধ করতে বেশি সাহস পায়। আমি কোর্টকে বলেছি এসব অপরাধে সাজা বৃদ্ধি করা হোক। কারণ ইতোমধ্যে অনেক অর্থ পাচার করা হয়েছে বাংলাদেশের।

তিনি বলেন, আমরা বিএনপির প্রয়াত নেতা আরাফাত রহমান কোকোর পাচার করা অর্থ ফেরতে এনেছি। আরও যারা অর্থ পাচার করছেন তাদের বিষয়ে কোর্ট তথ্য দিতে বলেছেন। তথ্য দিলে আদালত প্রয়োজনীয় আদেশ দেবেন। ভারতে অর্থপাচার আইনের সাজা বৃদ্ধি করা হয়েছে।

এর আগে এদিন অর্থপাচার ইস্যুতে হাইকোর্ট বলেছেন, ‘আমরা আদেশ দিলে পৃথিবীর কোনো দেশে গিয়েও অর্থপাচারকারীরা শান্তি পাবে না।’

আদালত আরও বলেন, আমাদের আদেশের কারণেই আজ পি কে হালদার সারা বিশ্বের মানুষের কাছে অর্থপাচারের অভিযোগে ভিন্নভাবে আলোচিত। এটা ভাবার সুযোগ নেই, অন্য দেশে গেলে আমরা তার বিরুদ্ধে আদেশ দিতে পারবো না। শুধু অর্থপাচারকারীর অবস্থানটা চিহ্নিত করে দিলেই আমরা তার বিরুদ্ধে আদেশ দিতে পারি। অর্থপাচারকারীর বিষয়ে কোনো ছাড় নেই।

এরপর আদালত পি কে হালদারের বিষয়ে জারি করা রুল আগামী ১২ জুন শুনানির জন্য নির্ধারণ করেন। একই সঙ্গে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পি কে হালদারের মামলাগুলোর অগ্রগতি সম্পর্কে আদালতকে জানাতে দুদকের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়।

এ দিন আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন- সিনিয়র আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। অপরদিকে রাষ্ট্র পক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন মানিক।

উল্লেখ্য, গত ১৪ মে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে গ্রেফতার হন প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদার। সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা পাচার ও আত্মসাতের অভিযোগে দেশে তার বিরুদ্ধে ৩৫টি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি রয়েছে।

এআইএম/এএস