images

আইন-আদালত

সাগর-রুনি হত্যা বিচার প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতার বড় উদাহরণ: হাইকোর্ট

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

১৩ মে ২০২৪, ০৭:১৮ পিএম

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলা ফৌজদারি বিচারব্যবস্থায় বিচার প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতার বড় উদাহরণ বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (১৩ মে) মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দী রাখা অবৈধ ঘোষণার রায়ে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এমন পর্যবেক্ষণ দেন।

আদালত বলেন, সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার বিগত ১২ বছর ধরে তদন্ত হচ্ছে, এখনো তদন্ত শেষ হচ্ছে না। বিচার তো আরও পরের স্টেজ। আমাদের দেশে ট্রায়াল স্টেজ শেষ হতেই পাঁচ থেকে ১০ বছর সময় লেগে যায়। এই ধরনের বিলম্ব যেখানে হয় সেখানে মৃত্যুদণ্ডের আসামিকে নির্জন সেলে ১৫ থেকে ২০ বছর পর্যন্ত যদি বন্দী রাখা হয়, তাহলে তাকে ডাবল শাস্তি দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন

মৃত্যুদণ্ড চূড়ান্তের আগে কনডেম সেলে রাখা অবৈধ: হাইকোর্টের রায়

সেই শিশুকে মামার জিম্মায় দিতে নির্দেশ হাইকোর্টের

আইনজীবী শিশির মনির জানান, আদালত বলেছেন, মৃত্যদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দীর বিষয়ে তথ্য চাইলে (সাংবাদিক, গবেষক) আইন অনুসারে তা কারা কর্তৃপক্ষকে দিতে হবে। একই সঙ্গে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রারকেও আইন অনুসারে তথ্য দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক রিপোর্টেও এসব আসামির তথ্য সন্নিবেশিত করতে বলা হয়েছে।

আদালত বলেছেন, আমাদের দেশে হাইকোর্ট বিভাগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির জামিনের দরখাস্ত শুনানি করা হয় না। বাকি আসামিদের জামিনের দরখাস্ত যেমন সহসাই শুনানি হয় এবং তারা জামিন লাভ করেন, তেমনি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের জামিনের আবেদনও যেন শুনানি করা হয়।

এআইএম/জেবি