images

আইন-আদালত

দাবদাহ নিয়ন্ত্রণে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে রুল

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

০৬ মে ২০২৪, ০১:১৭ পিএম

সারাদেশে গাছ লাগানো এবং কাটার ক্ষেত্রে পরিবেশ বান্ধব আইন ও নীতিমালা তৈরি না করা এবং দাবদাহ নিয়ন্ত্রণে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

এ বিষয়ে করা আবেদনের শুনানি শেষে সোমবার (৬ মে) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

রিটকারী আইনজীবী তানভীর আহমেদ ঢাকা মেইলকে আদেশের বিষয়টি জানিয়েছেন।

সারাদেশে তাপপ্রবাহ কমাতে এবং গাছ কাটা ও লাগানোর বিষয়ে পরিবেশবান্ধব আইন, বিধিমালা বা নীতি প্রণয়নের জন্য অবিলম্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে গত ২ মে একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। পরিবেশ সচিব, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক, প্রধান বন সংরক্ষক, আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক ও কুষ্টিয়ার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বরাবর রেজিস্ট্রি ডাকযোগে নোটিশটি পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানভীর আহমেদ।

‘দাবদাহের বিপদে রাজধানীর ৯০% এলাকা’, ‘সারা দেশে গাছের জন্য হাহাকার, অথচ কুষ্টিয়ায় কেটে ফেলা হচ্ছে ৩ হাজার গাছ’ ও ‘কুষ্টিয়ার সেই ৩ হাজার গাছ কাটার সিদ্ধান্ত স্থগিত করল বন বিভাগ’-শিরোনামে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন তুলে ধরে নোটিশটি পাঠানো হয়।

পরে আইনজীবী তানভীর আহমেদ বলেছিলেন, দেশের ভৌগোলিক সীমানার ২৫ ভাগ বনভূমি থাকা প্রয়োজন। অথচ আছে ৯ শতাংশ। প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ কমানোর জন্য এখনো দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি। ফিনল্যান্ডের আবহাওয়া সবচেয়ে ভালো। দেশটিতে একটি গাছ কাটলে বাধ্যতামূলক তিনটি গাছ লাগাতে হয়। ২০২৩ সালে কুষ্টিয়ার যদুবয়রা থেকে সান্দিয়ারা পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার সড়কের প্রায় ১০ হাজার গাছ কাটা হয়েছে। কিন্তু সেখানে কোনো গাছ লাগানো হয়নি। দেশে গাছ কাটা ও লাগানোর বিষয়ে পরিবেশবান্ধব কোনো আইন, বিধি বা নীতিমালা নেই। তাই আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

আইনজীবী তানভীর আহমেদ বলেন, নোটিশ পাওয়ার পর তাপপ্রবাহ কমাতে এবং গাছ কাটা ও লাগানোর বিষয়ে পরিবেশবান্ধব আইন, বিধি বা নীতিমালার জন্য তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ জানাতে বলা হয়েছে। তা না হলে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এআইএম/এমআর