images

আইন-আদালত

ছেলেসহ অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি জয়নুলের বিচার শুরু

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

৩১ মার্চ ২০২৪, ০৯:৩৮ পিএম

দুর্নীতি মামলায় অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. জয়নুল আবেদীন ও তার ছেলে ফয়সালের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর মাধ্যমে মামলাটির আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ শুরু হলো।

রোববার (৩১ মার্চ) ঢাকার-৮ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. বদরুল আলম ভূঞা এই আদেশ দেন। এসময় আসামি ফয়সাল পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. জয়নুল আবেদীনের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ২১ জুলাই মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আদালত সূত্র জানায়, বিচারপতি জয়নুলের পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয়সহ অর্জিত সম্পদ এক কোটি ৯৭ লাখ ১৩ হাজার ২১৩ টাকা। এর বিপরীতে আয়ের উৎস পাওয়া যায় এক কোটি ৮৭ লাখ ৬৩ হাজার ৩০৪ টাকার। তার আয়ের তুলনায় নয় লাখ ৪৯ হাজার ৯০৯ টাকা বেশি।

আরও পড়ুন

দেশে ফেরার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ট্রান্সকমের ৩ কর্তাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ

চার্জশিট থেকে আরও জানা যায়, বিচারপতি জয়নুল ছেলেকে ২৬ লাখ টাকা ঋণ দিয়েছিলেন বলে ঘোষণা দেন। এটা পরিশোধের তথ্য তার ছেলের আয়কর নথিতে উল্লেখ আছে। কিন্তু বিচারপতির রিটার্নে ২৬ লাখ টাকা ঋণদান এবং ফেরত প্রাপ্তির কোনো উপাত্ত নেই। বিচারপতির সম্পদ বিবরণীর সঙ্গে দাখিল করা ব্যাংক স্টেটমেন্টে (২০০৫-২০০৬ এবং ২০০৬-২০০৭ অর্থবছর) অ্যাকাউন্ট থেকে ২৬ লাখ টাকা উত্তোলনের তথ্য নেই।

ফয়সাল আবেদীনের আয়কর নথিতে দায় ক্রমান্বয়ে পরিশোধ দেখানো হলেও বিচারপতি জয়নুলের কাছে টাকা পরিশোধের কোনো দালিলিক প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এ থেকে দুদক প্রমাণ পেয়েছে- বিচারপতি জয়নুল অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ বৈধ করার জন্য ২৬ লাখ টাকা ছেলের ফ্ল্যাটে বিনিয়োগ করেন। এছাড়া স্ত্রীর নামে সাত লাখ ৪৫ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ থাকার হিসাব দাখিল করেন তিনি।

দুদকের তদন্তে বিচারপতি জয়নুলের বিরুদ্ধে ৩৫ লাখ ৪৯ হাজার ৯০৯ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করে তা নিজ ভোগদখলে রাখা এবং ছেলেকে ফ্ল্যাট ক্রয়ের জন্য দেওয়া ২৬ লাখ টাকা নিজ আয়কর নথিতে প্রদর্শন না করে মিথ্যা তথ্য উঠে আসে। ফয়সাল বাবার ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত ২৬ লাখ টাকা বৈধ করার জন্য সম্পত্তি ক্রয় ও দখলে রেখে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেন।

এআইএম/জেবি