images

আইন-আদালত

অর্থপাচারের আরেক মামলায় এনু-রুপনের ৭ বছর কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৮ নভেম্বর ২০২৩, ০১:৩৭ পিএম

অর্থপাচারের দায়ে করা আরেকটি মামলায় ঢাকার গেণ্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা এনামুল হক এনু এবং তার ভাই রুপন ভূঁইয়াকে সাত বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া তাদের ৫২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ-৮ এর বিচারক মো. বদরুল আলম ভূঞা এই রায় ঘোষণা করেন। রায়ে অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় মামলার বাকি ছয় আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ আমির হোসেন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

খালাস পাওয়া আসামিরা হলেন- শহীদুল হক, মো. রশিদুল হক ভুঁইয়া, জয় গোপাল সরকার, ভুলু চন্দ্র দেব, পাভেল রহমান এবং মেরাজুল হক শিপলু। আসামিদের মধ্যে মেরাজুল হক শিপলু ও ভুলু চন্দ্র দেব পলাতক।

মামলাটির যুক্তিতর্ক শেষে গত ২০ নভেম্বর সন্ধ্যায় বিচারক রায়ের জন্য আজকের দিন ঠিক করছিলেন।

আরও পড়ুন

অর্থপাচার মামলায় এনু-রুপনসহ ১১ জনের সাত বছর কারাদণ্ড

২০১৯ সালে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঢাকার ক্রীড়া ক্লাবগুলোতে অভিযান চালানোর মধ্যে ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি গ্রেফতার করা হয় দুই ভাই এনু ও রুপনকে। তার আগে তাদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে পাওয়া যায় সিন্দুক ভর্তি কোটি কোটি টাকা আর সোনা, যা ক্যাসিনোর বাণিজ্যের মাধ্যমে তারা হাতিয়ে নিয়েছে বলে তদন্ত কর্মকর্তার ভাষ্য। ওই অভিযানে এনু এবং রুপনের ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের দুই সহযোগী আবুল কালাম ও হারুন অর রশিদের বাসাতেও অভিযান চালায় র‌্যাব।

এরপর দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ১২টি মামলা হয়।

২০২০ সালের ৩১ আগস্ট বংশাল থানায় সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম স্কোয়াডের পরিদর্শক মো. মেহেদী মাকসুদ একটি মামলা করেন। মামলায় ১১ জনকে আসামি করা হয়। তদন্ত শেষে তিনজনকে অব্যাহতি দিয়ে আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

এর আগে ওয়ারী থানায় করা অর্থপাচারের এক মামলায় ২০২২ সালের ২৫ এপ্রিল এনু-রুপনসহ ১১ জনকে সাত বছর করে কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেনের আদালত। একইসঙ্গে তাদের চার কোটি টাকা জরিমানা করা হয়।

এমআর