images

চাকরি

কাঙ্ক্ষিত চাকরি না পেলে কী করবেন?

চাকরি ডেস্ক

০৭ জুন ২০২৩, ১০:০৭ এএম

শিক্ষাজীবন শেষ করে সবাই কর্মজীবনে প্রবেশ করতে চান। এজন্য যেসব প্রতিষ্ঠানে কর্ম খালি আছে সেখানে ঢু মারেন। চাকরির আবেদন করেন। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান চাকরিপ্রার্থীকে ইন্টারভিউয়ের জন্য ডেকে নেন। কেউবা জীবনবৃত্তান্ত দেখে ডাকেন না। যারা দীর্ঘদিন চাকরির আবেদন করেও তারা হতাশ হয়ে যান। তখন ভেবে কূল পান না কী করবেন? 

দক্ষতা ও যোগ্যতার অভাব

কাঙ্ক্ষিত চাকরি না পাওয়ার মূল কারণ প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও যোগ্যতার অভাব। চাকরিদাতা নিয়োগ দিতে যেসব যোগ্যতা চান তা হয়তো অনেকেরই নেই। তাই ওসব প্রতিষ্ঠানে আবেদন করেও মেলে না ইন্টারভিউয়ের ডাক।

jobঅভিজ্ঞতার অভাব

সদ্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের চাকরি না পাওয়ার মূল কারণ অভিজ্ঞতার অভাব। সব প্রতিষ্ঠানেই চায় অভিজ্ঞতা সম্পন্ন প্রার্থী নিয়োগ দিতে। তাই অভিজ্ঞতার অভাবে ইন্টারভিতে ডাক আসে না। 

কাঙ্ক্ষিত চাকরি না পেলে কী করবেন?

বারবার আবেদন করেও যদি আপনি ইন্টারভিউতে ডাক না পান তবে হতাশ হবে না। বরং আশা রাখুন। প্রয়োজনে আবেদনের পদ্ধতি বদলে নতুনভাবে সিভি ও কভার লেটার তৈরি করুন।

jobপ্রতিষ্ঠানের তালিকা তৈরি করুন

আপনার দক্ষতা ও যোগ্যতা অনুযায়ী যে ধরনের চাকরি চান ওই ধরনের প্রতিষ্ঠানের তালিকা তৈরি করুন। ক্যারিয়ার প্লান সাজান। চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ জীবনবৃত্তান্ত ও কভার লেটার সাজান। আবেদন করুন। দেখবেন ফল পাবেন। 

আপনার দূর্বলতা খুঁজে বের করুন

আপনি হয়তো পড়ালেখা শেষ করে বিভিন্ন জায়গায় চাকরির আবেদন করছেন। কিন্তু ইন্টারভিউতে ডাক পাচ্ছেন না। আবার ডাক পেলেও ইন্টারভিউ থেকে বাদ পড়ে যাচ্ছেন। আপনার চাকরি না পাবার কারণ কী হতে পারে, সে ব্যাপারে নিজেকে কোন প্রশ্ন করেছেন কি? হয়তো এমন কোন ব্যাপার রয়েছে যা নিয়ে আপনি সেভাবে মাথা ঘামান নি। তাই নিজের দূর্বলতাগুলো খুঁজে বের করুন। দূর্বলতাগুলোকে কীভাবে দক্ষতায় পরিণত করা যায় তা নিয়ে ভাবুন।

workনিজেকে প্রমাণ করুন

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির সাথে মিলিয়ে চলনসই একটা সিভি হয়তো বানিয়েছেন আপনি। ইন্টারভিউ দেবার সুযোগও পেলেন। কিন্তু সিভিতে যা কিছু লিখেছেন, তার উপর প্রশ্ন করা হলে বা কোন কাজ দেয়া হলে প্রমাণ দিতে পারবেন কি? না পারলে নিয়োগদাতার আস্থা হারাবেন।

উদাহরণ দেয়া যাক একটা। বহু চাকরিপ্রার্থী সিভির ভাষা দক্ষতা সেকশনে “Good Command of English” লিখে থাকেন। আপনিও লিখেছেন। নিয়োগদাতা যদি পুরো ইন্টারভিউ ইংরেজিতে নেন আর আপনি উত্তর দিতে না পারেন, তাহলে কিন্তু ধরা খেয়ে যাবেন। 

তাই সিভিতে নিজের সম্পর্কে যেসব বিষয় লিখেছেন সেসব বিষয়ে নিজেকে প্রমাণ করার চেষ্টা করুন। 

এজেড