images

চাকরি

অনলাইনে মিলছে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রবেশপত্র, পাবেন যেভাবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:২৯ এএম

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রবেশপত্র দেওয়া শুরু হয়েছে। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে অনলাইনে প্রবেশপত্র সংগ্রহ করা যাচ্ছে।

২০২৬ সালের ২ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিতে প্রার্থীরা অনলাইনে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারছেন। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর জানিয়েছে, পরীক্ষাটি সকাল ১০টা পর্যন্ত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত দেড় ঘণ্টাব্যাপী নিজ নিজ জেলায় অনুষ্ঠিত হবে।

শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) ও যুগ্মসচিব এ কে মোহাম্মদ সামছুল আহসানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ২০২৫’-এর লিখিত পরীক্ষা আগামী ২ জানুয়ারি ২০২৬ অনুষ্ঠিত হবে। এদিন সকাল ১০টা থেকে ১১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত পরীক্ষাটি আবেদনকারীদের নিজ নিজ জেলায় নেওয়া হবে। পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই সকাল ৯টার মধ্যে নিজ নিজ কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে।’

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, প্রার্থীদের আবেদনে উল্লিখিত মোবাইল নম্বরে যথাসময়ে ০১৫৫২-১৪৬০৫৬ নম্বর থেকে প্রবেশপত্র ডাউনলোড সংক্রান্ত এসএমএস পাঠানো হবে। পরীক্ষার্থীরা ২৭ ডিসেম্বর সকাল ১০টা থেকে admit.dpe.gov.bd ওয়েবসাইটে ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে অথবা এসএসসি পরীক্ষার রোল নম্বর, বোর্ড ও পাসের সন দিয়ে লগইন করে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন।

পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রার্থীদের অবশ্যই ডাউনলোড করা প্রবেশপত্রের রঙিন প্রিন্ট কপি এবং নিজের জাতীয় পরিচয়পত্রের (মূল এনআইডি বা স্মার্টকার্ড) সঙ্গে আনতে হবে। ওএমআর শিট পূরণের নির্দেশনা এবং পরীক্ষা সংক্রান্ত অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য প্রবেশপত্রে উল্লেখ থাকবে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন, বই, নোট, কাগজপত্র, ক্যালকুলেটর, পার্স, ভ্যানিটি ব্যাগ, হাতঘড়ি বা যে কোনো ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস বহন সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কেউ এসব সামগ্রী নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করলে তাকে তাৎক্ষণিকভাবে বহিষ্কারসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এছাড়া যে কোনো ধরনের প্রতারণা বা অসাধু ব্যক্তির প্রলোচনায় না পড়তে পরীক্ষার্থীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

নিরাপত্তাব্যবস্থা

সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন করতে প্রতিটি কেন্দ্রে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি পরীক্ষা পরিচালনার দায়িত্ব পালন করবে। 

পরীক্ষাকেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত কয়েকজন কর্মকর্তা ব্যতীত অন্য কারও মোবাইল ফোন ব্যবহারের সুযোগ থাকবে না। 

ভুয়া পরীক্ষার্থী বা অসদুপায় অবলম্বনকারীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক শাস্তি প্রদান করা হবে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের সূত্র অনুযায়ী, এবারের নিয়োগে পদের বিপরীতে ব্যাপক সংখ্যক আবেদন জমা পড়ায় তীব্র প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতে হবে প্রার্থীদের। প্রথম ধাপে (রাজশাহী, রংপুর, সিলেট, খুলনা, বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগ) ১০ হাজার ২১৯টি শূন্য পদের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছিল ৭ লাখ ৪৫ হাজার ৯২৯টি। দ্বিতীয় ধাপে (ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ) ৪ হাজার ১৬৬টি পদের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে ৩ লাখ ৩৪ হাজার ১৫১টি।

দুই ধাপ মিলিয়ে মোট ১৪ হাজার ৩৮৫টি শূন্য পদের বিপরীতে আবেদনকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ ৮০ হাজার ৮০ জন। সেই হিসাবে প্রতিটি পদের বিপরীতে গড়ে লড়াই করবেন প্রায় ৭৫ জন পরীক্ষার্থী।

এমআর