চাকরি ডেস্ক
২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:২৭ পিএম
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ২০২৫’-এর লিখিত পরীক্ষার তারিখ এবং পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। আগামী ২ জানুয়ারি ২০২৬ (শুক্রবার) সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত তিন পার্বত্য জেলা ব্যতীত দেশের সব জেলায় একযোগে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই পরীক্ষা শুরু হওয়ার অন্তত এক ঘণ্টা আগে (সকাল ৯টার মধ্যে) কেন্দ্রে আসন গ্রহণ করতে হবে।
পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রের সব প্রবেশপথ বন্ধ করে দেওয়া হবে। এরপর কোনো প্রার্থীকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
কেন্দ্রে প্রবেশের সময় নারী ও পুরুষ প্রার্থীদের আলাদাভাবে তল্লাশি করা হবে।
প্রয়োজনে হ্যান্ড মেটাল ডিটেক্টর ব্যবহার করা হবে।
ব্লুটুথ বা কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস শনাক্ত করতে পরীক্ষার্থীদের উভয় কান উন্মুক্ত রাখতে হবে
কানে কোনো ‘স্পাইক ইয়ারফোন’ আছে কি না, প্রয়োজনে তা টর্চলাইট দিয়ে চেক করা হবে
পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল ফোন, ক্যালকুলেটর, স্মার্ট ওয়াচ, যেকোনো ধরনের ঘড়ি, ভ্যানিটি ব্যাগ, পার্স বা কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস সঙ্গে আনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
এসব পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক বহিষ্কারসহ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রার্থীদের একটি ওএমআর শিট দেওয়া হবে যা কালো বলপয়েন্ট কলম দিয়ে পূরণ করতে হবে।
পেনসিল ব্যবহার করলে উত্তরপত্র বাতিল হবে।
পরীক্ষা শেষে প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র—উভয়ই পরিদর্শকের কাছে জমা দিতে হবে; প্রশ্নপত্র সঙ্গে নিয়ে যাওয়া যাবে না।
সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন করতে প্রতিটি কেন্দ্রে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি পরীক্ষা পরিচালনার দায়িত্ব পালন করবে।
পরীক্ষাকেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত কয়েকজন কর্মকর্তা ব্যতীত অন্য কারও মোবাইল ফোন ব্যবহারের সুযোগ থাকবে না।
ভুয়া পরীক্ষার্থী বা অসদুপায় অবলম্বনকারীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক শাস্তি প্রদান করা হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের সূত্র অনুযায়ী, এবারের নিয়োগে পদের বিপরীতে ব্যাপক সংখ্যক আবেদন জমা পড়ায় তীব্র প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতে হবে প্রার্থীদের। প্রথম ধাপে (রাজশাহী, রংপুর, সিলেট, খুলনা, বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগ) ১০ হাজার ২১৯টি শূন্য পদের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছিল ৭ লাখ ৪৫ হাজার ৯২৯টি। দ্বিতীয় ধাপে (ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ) ৪ হাজার ১৬৬টি পদের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে ৩ লাখ ৩৪ হাজার ১৫১টি।
দুই ধাপ মিলিয়ে মোট ১৪ হাজার ৩৮৫টি শূন্য পদের বিপরীতে আবেদনকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ ৮০ হাজার ৮০ জন। সেই হিসাবে প্রতিটি পদের বিপরীতে গড়ে লড়াই করবেন প্রায় ৭৫ জন পরীক্ষার্থী।