চাকরি ডেস্ক
২৩ জুন ২০২৫, ১০:৪৪ এএম
অফিসের বস (উর্ধ্বতন কর্মকর্তা) সন্তুষ্ট থাকলে কাজের পরিবেশ যেমন সহজ হয়, তেমনি ক্যারিয়ারেও আসে অগ্রগতি। তবে বসকে ‘বশে’ আনা মানে চাটুকারিতা নয়—বরং বোঝাতে চাওয়া হচ্ছে পেশাদার আচরণ, দক্ষতা ও ইতিবাচক মনোভাব দিয়ে তার আস্থা অর্জন করা।
চলুন জেনে নেওয়া যাক কিছু কার্যকর কৌশল যা বসকে খুশি রাখতে এবং ভালো কর্মী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সাহায্য করবে।
বসের চোখে সবচেয়ে মূল্যবান বৈশিষ্ট্য হলো সময়ের প্রতি শ্রদ্ধা। সময়মতো অফিসে আসা, মিটিংয়ে নির্ধারিত সময়ে উপস্থিত থাকা এবং সময়মতো কাজ জমা দেওয়া আপনাকে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে রাখবে।

কাজ শুধুমাত্র বস বলার পর করা নয়, বরং নিজের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন থাকা এবং আগে থেকেই কিছু ইনিশিয়েটিভ নেওয়া বসকে সন্তুষ্ট করার বড় অস্ত্র।
কোনো সমস্যা হলে সেটি শুধু জানিয়ে বসকে চাপ না দিয়ে, সম্ভাব্য সমাধানসহ উপস্থাপন করুন। এতে বস বুঝবেন আপনি দায়িত্বশীল এবং পরিপক্ক।
অফিসে পেছনে কার কী বললো—তা না শুনে নিজের কাজে মনোযোগ দিন। অন্যদের দোষ খুঁজে না দেখিয়ে নিজের কর্মদক্ষতা দিয়ে এগিয়ে যান।

কাজের অগ্রগতি, সমস্যা বা প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো বসকে সময়মতো জানানো খুব জরুরি। হঠাৎ করে কোনো জটিলতা এলে যাতে বস অবগত থাকেন, এ বিষয়টি খেয়াল রাখুন।
আপনার রিপোর্ট, প্রেজেন্টেশন বা মেইল যেন পরিষ্কার, সংগঠিত ও সময় সাশ্রয়ী হয়। বস যেন আপনার দেওয়া তথ্য সহজে বুঝতে পারেন।
বস যদি ভালো সিদ্ধান্ত নেন বা কারও পাশে দাঁড়ান—তাকে আন্তরিকভাবে প্রশংসা করতে পারেন। তবে অতিরিক্ত তোষামোদ করলে তার প্রতিক্রিয়া উল্টো হতে পারে।
বস বা সহকর্মীরা কিছু শিখালে মন খারাপ না করে ধৈর্য ধরে শিখুন। এতে আপনি উন্নত হবেন এবং বস বুঝবেন আপনি শিখতে আগ্রহী।

ছুটি নেওয়া, ড্রেস কোড মানা বা ইমেইলের শিষ্টাচার—এসব ছোটখাটো বিষয়গুলোতে নিয়ম মেনে চললে বসের আস্থা অর্জন সহজ হয়।
আপনার ডেস্ক, ফাইল, সময় ও কথা—সব কিছু গুছিয়ে রাখা উচিত। কর্মস্থলে ছোটখাটো অগোছালো আচরণও বসের কাছে নেতিবাচক বার্তা দিতে পারে।
নির্ভরযোগ্যভাবে কাজ শেষ করলে
সময় বাঁচানোর মতো উদ্যোগ নিলে
টিমওয়ার্কে ভালো হলে
আরও পড়ুন: ইন্টারভিউতে নিজেকে সেরা হিসেবে উপস্থাপন করার ১০ কৌশল
জটিল কাজকে সহজ করে দিতে পারলে
অভিযোগ না করে সলিউশন দিতে পারলে
কোম্পানির লক্ষ্য মাথায় রেখে কাজ করলে
বসকে খুশি করা মানে শুধু তার কথায় ‘হ্যা’ বলা নয়, বরং নিজের দক্ষতা, দৃষ্টিভঙ্গি ও আচরণ দিয়ে প্রমাণ করা যে আপনি একজন প্রকৃত পেশাজীবী। এমন কর্মীকে বস যেমন বিশ্বাস করেন, তেমনি তিনি উন্নতির পথও খুলে দেন।
এজেড