চাকরি ডেস্ক
৩১ মে ২০২৫, ০৩:২২ পিএম
কর্মক্ষেত্রে নিয়মিত দায়িত্ব পালন একটি চাকরিজীবীর মৌলিক কর্তব্য। তবে শারীরিক অসুস্থতা, পারিবারিক প্রয়োজন কিংবা ব্যক্তিগত কারণে মাঝে মাঝে ছুটি নেওয়াটা স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু যদি কেউ ঘন ঘন ছুটি নেয়, তা হলে সেটি কেবল তার ব্যক্তিগত কর্মজীবনেই নয়, পুরো প্রতিষ্ঠানের উপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
ঘন ঘন ছুটি নিলে সহকর্মী ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে কর্মীর বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট হয়। অফিস কর্তৃপক্ষ মনে করে, কর্মীটি দায়িত্বশীল নন বা অফিসের প্রতি তার মনোযোগ কম।
নিয়মিত অনুপস্থিত থাকলে কর্মদক্ষতার মূল্যায়ন করা কঠিন হয়। যার ফলে পদোন্নতি, প্রশংসাপত্র বা বোনাসের ক্ষেত্রে বাদ পড়ার আশঙ্কা থাকে।

কোনো কর্মী বারবার ছুটি নিলে তার কাজ অন্যদের দিয়ে করাতে হয়। এতে সহকর্মীদের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে এবং দলীয় সহযোগিতায় অসন্তোষ দেখা দেয়।
বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানে বা অফিসে বার্ষিক কর্ম-মূল্যায়নে কর্মীর উপস্থিতি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ঘন ঘন ছুটি থাকলে রেটিং কমে যেতে পারে, যা ভবিষ্যতে পদোন্নতি বা বেতন বৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করে।

যদি ছুটির কারণগুলো অযৌক্তিক বা বারবার ওয়ার্নিং দেওয়ার পরও সংশোধন না হয়, তাহলে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে—যেমন শোকজ, বরখাস্ত অথবা চাকরি বাতিল।
যেকোনো প্রতিষ্ঠানে একটি পেশাদার ইমেজ গড়ে তোলা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। ঘন ঘন ছুটি এই ইমেজকে নষ্ট করে দেয়, যা ভবিষ্যতে অন্য কোথাও চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রেও বাধা হতে পারে।

প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে নির্দিষ্ট সংখ্যক বা ক্যাটাগরির ছুটি নির্ধারিত থাকে। তার বেশি ছুটি নিলে অনেক সময় বেতন কাটা পড়ে বা ছুটি মঞ্জুর নাও হতে পারে।
প্রয়োজনে আগেভাগে ছুটি আবেদন করুন
যথাসম্ভব অফিস টাইম মেইনটেইন করুন
বিশ্বাসযোগ্য কারণ ছাড়া ছুটি না নিন
অফিসের নিয়ম-কানুন সম্পর্কে সচেতন থাকুন
ছুটি নিলে দায়িত্ব যথাযথভাবে হস্তান্তর করুন
আরও পড়ুন: মার্কেটিং পেশার চাহিদা বাড়ছে, তরুণদের উজ্জ্বল ক্যারিয়ারের সম্ভাবনা
চাকরির ক্ষেত্রে সময়ানুবর্তিতা, দায়িত্ববোধ এবং উপস্থিতি—এই তিনটি বিষয়ই একজন কর্মীর প্রফেশনাল সাফল্যের ভিত্তি। তাই ঘন ঘন ছুটি নেওয়ার আগে ভাবুন, এতে আপনি একদিনের বিশ্রাম পেলেও হয়তো কর্মজীবনে তৈরি হচ্ছে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি।
এজেড