images

সাক্ষাৎকার / জাতীয়

‘ফেসবুক একাউন্টেবল না হলে প্রটেকশন আমাদের দায়িত্বের অংশ’

কাজী রফিক

১০ জুন ২০২৪, ০৯:৫৬ পিএম

বিশ্বব্যাপী প্রচলিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর মধ্যে বাংলাদেশে ব্যবহারকারীদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে ফেসবুক। আমাদের দৈনন্দিন ইন্টারনেট ব্যবহারের বড় একটি অংশজুড়েই আছে ফেসবুক। মূলধারার সংবাদমাধ্যম না হলেও ফেসবুকে প্রচারিত নানা তথ্য সমাজে ব্যাপক প্রভাব ফেলে। ফলে বহুল ব্যবহৃত এই মাধ্যমটিকে কেউ কেউ রাজনীতিসহ নানান ঘটনার অপপ্রচার বা গুজব ছড়ানোর কাজেও ব্যবহার করে। এ ধরনের ক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোসহ পশ্চিমা দেশগুলোকে কঠোর অবস্থান নিতে দেখা যায়। বাংলাদেশও সেই পথে হাঁটতে চায়। সম্প্রতি ‘ঢাকা মেইল’র সঙ্গে একান্ত আলাপকালে এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন সরকারের তথ্য প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী আরাফাত। একই সঙ্গে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের বাজেট, ঢাকা-১৭ সংসদীয় আসন নিয়ে তার ভাবনার বিষয়েও আলোচনা হয়। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ‘ঢাকা মেইল’র নিজস্ব প্রতিবেদক কাজী রফিক

ঢাকা মেইল: প্রতিপক্ষের বিপক্ষে প্রচারণা আওয়ামী লীগ থেকে পরিচালিত হয়— এমন অভিযোগ করে বেশকিছু ফেসবুক একাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাই।

মোহাম্মদ আলী আরাফাত: একটা রিপোর্ট, যে স্ট্যাডির উপর বেজ করে ফেসবুক এই কাজটা করেছে, এটা ফেসবুক নিজে করেনি। ফেসবুক বাংলাদেশের কিছু মানুষকে দায়িত্ব দিয়েছিল এই কাজটা করার জন্য। ফেসবুক ফেস ভ্যালুতে বিশ্বাস করে এটা ছাপিয়ে দিয়েছে। যাদেরকে দিয়ে এই রিপোর্টটা করিয়েছে, এদের পরিচয়টা তো পরিষ্কার হয়ে গেছে৷ এরা খুঁজে ১৪৮টা পেজ পেলো, সবগুলো নাকি আওয়ামী লীগের। তাহলে এদিন ধরে আওয়ামী লীগের বিপক্ষে, মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে অপপ্রচার, মিথ্যাচার যারা করেছে, ওরা কোথায় গেল?

আমরা এটা পরিষ্কারভাবে বুঝতে পারছি, যারা এটা করেছে, তারা ওই গোষ্ঠীরই কেউ, তাদেরই প্রতিনিধিত্ব করে। যে কারণে আমরা ফেসবুক অথরিটিকে বলেছি, যাদেরকে দিয়ে করিয়েছো, তাদের আইডেন্টিটি ইনভেস্টিগেট করো। করে তাদেরকে বের করো৷ কারণ তারা যে কাজটা করেছে তা একটা ভুল তথ্য। ভুল তথ্যের জন্য তুমি পেজ বন্ধ করছো, তোমার এই কাজটায় যে রিপোর্টটা তারা দিয়েছে, এটাই একটা ভুল তথ্যের অংশ। এটায় যদি তুমি ব্যবস্থা না নাও, তাহলে আমরা ব্যবস্থা নেব। এটাই আমি বলেছি।

আমরা চাই, ফেসবুক, স্যোশাল মিডিয়া এখানে থাকুক। এটার বহুল ব্যবহার হচ্ছে, এটা হোক। এটার মাধ্যমে মানুষ বিভিন্নভাবে ব্যবসা-বাণিজ্যের সুবিধা নিচ্ছে, এটা ভালো। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে, একটা দেশের বৃহত্তর যে স্বার্থ, সেখানে যদি তারা একাউন্টেবল (জবাবদিহি) না হয়, আওয়ামী লীগ-বিএনপির রাজনীতি বাদ দেন, ইতালিয়ান অ্যাম্বাসেডর আসলো কিছুদিন আগে, বললো, একটা সিন্ডিকেট মানুষকে প্রলুব্ধ করে অপপ্রচারের মাধ্যমে ইতালিতে নিয়ে যাবে। এই মিথ্যাচার করে মানুষকে প্রলুব্ধ করে আইনের পথের বাইরে নিয়ে যায়। পরে কি হয়? দিন শেষে মানুষ সাগরে ডুবে মরে। কেউ যদি পৌঁছাতেও পারে, যে ধরণের জীবনযাপন তাদের ওইখানে করতে হয়, কি বললো!

Mohammad_A_Arafat--Inerview_1

ঢাকা মেইল: বিভিন্ন বিষয়কে আলোচনায় নিয়ে আসার পাশাপাশি সমালোচনার একটি বড় জায়গা হলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, বিশেষ করে ফেসবুক। রাজনীতি ছাড়াও নানা বিষয় এখানে উঠে আসে। প্রায়ই এ প্লাটফর্মে ভুল বা মিথ্যা তথ্য প্রচার হয়। এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কিছু ভাবা হচ্ছে কি?

মোহাম্মদ আলী আরাফাত: মূল ধারার রাজনীতির বাইরে সামাজিকভাবে কত মানুষ ভিক্টিম হচ্ছে, সেটাও তো আমাদের দেখা উচিত। অপপ্রচার বন্ধে ফেসবুক তো একাউন্টেবল হচ্ছে না। যদি না হয়, আমার দেশের প্রকেটকশন আমার জন্য তো দায়িত্বের অংশ। সেই জায়গা থেকে আমরা বলেছি, ফেসবুককে একাউন্টেবল হতে হবে। যদি না হয়, যে ব্যবস্থা নিতে হয় আমরা নেব। ইউরোপীয় ইউনিয়নে যে আইন আছে, আমি ঘেঁটে দেখেছি, সেখানে যদি কেউ অপপ্রচার করে, তারা কিন্তু যে অপপ্রচার করেছে তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয় না। যে মাধ্যমে অপপ্রচার হয়েছে তাদের জরিমানা করে। যে জরিমানা তারা করে সেটা যদি ওই প্লাটফর্ম পরিশোধ না করে তাহলে তাদের সেখানে যে অফিস আছে সে অফিস তারা বন্ধ করে দেয়। কাজেই বন্ধ করে দেওয়ার যে বিষয়টা সেটা শুধু বাংলাদেশই বলছে সেটি নয়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের যত দেশ আছে তাদের আইনের মধ্যেও বিষয়টি আছে।

তারা টিকটক বন্ধ করে দেবে বলেছে না? কেন? জাতীয় নিরাপত্তা, দেশের আইন না মানা। তাদের জন্য যদি তারা বন্ধ করতে পারে আমরাও করতে পারি। আমরা বলেছি, যত অপপ্রচারকারী পেইজ আছে, সব বন্ধ করে দেন। যদি দুই-একটা এমন পাওয়া যায় আওয়ামী লীগের পক্ষের, সেটা বন্ধ করে দেন। আমি কিন্তু এখানে ডিসক্রিমিনেট করতে চাই না। যারা সারাজীবন ধরে অপপ্রচার করলো তাদের কোনো খবর নাই। আপনি খুঁজে খুঁজে বের করে বললেন কারা এটা চালায় আপনি জানেন না। আপনারা বলছেন, আপনার অনুসন্ধান নাকি খুঁজে পেয়েছে এগুলো যারা চালায় তারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত, সিআরআইয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত। আপনি কোন অনুসন্ধানে এটা খুঁজে পেলেন, আমরা তো তার স্বচ্ছতা পেলাম না। কাজেই এ ধরণের অস্বচ্ছ প্রক্রিয়া, অপপ্রচার— আমি সেটাকে চ্যালেঞ্জ করেছি।

ঢাকা মেইল: এ বিষয়ে বিস্তরিত জানাতে ফেসবুককে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কোনো সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে কি?

মোহাম্মদ আলী আরাফাত: না, আমরা তাদেরকে এখনো কোনো সময় বেঁধে দেইনি। আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি। সময়মতো সময়সীমা দেওয়া হবে। তার আগে তারা শুধরে যাবে।

ঢাকা মেইল: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের জন্য কোনো আইন করার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে কিনা?

মোহাম্মদ আলী আরাফাত: না, আমরা ওরকম কিছু ভাবিনি এখনো। আমরা অপ্রচার রোধ করতে গিয়ে বা অপ-তথ্যের ক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, পাশ্চাত্যের বিভিন্ন দেশ যে আইন করেছে, প্রয়োগ করছে, আমরা সেগুলো বিচার বিশ্লেষণ করছি, নতুন করে আমরা কিছু উদ্যোগ নিচ্ছি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের যারা কর্তা ব্যক্তি তাদেরকে কিছুদিন আগে সিনেটে ও কংগ্রেসে কিভাবে তোপের মুখে ফেলা হলো। তাদেরকে আমরাও তোপের মুখে ফেলব। ওদেরকে একাউন্টেবল করব, আইনের মধ্যে থেকে চালাতে বাধ্য করব। ওইভাবে আমরা এগোচ্ছি।

ঢাকা মেইল: অভিযোগ উঠেছে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের প্রেসক্রিপশন মেনে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে। এ বিষয়ে কি বলবেন?

মোহাম্মদ আলী আরাফাত: আওয়ামী লীগ সরকার কোনোদিন আইএমএফ, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের প্রেসক্রিপশনে চলে না। যারা এই প্রেসক্রিপশনের কথা বলছে, তারাই প্রেসক্রিপশনে চলতো। তাই তারা ভাবে সবাই চলে।

আমরা ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, আইএমএফের কথা শুনি না। এটার কত প্রমাণ দেব? পদ্মা সেতু সবচেয়ে বড় প্রমাণ। কাজেই গত ১৫ বছরের উন্নয়ন, অগ্রগতি এবং বৈশ্বিক বাস্তবতা, একটা অতিমারি-মহামারি হলো, যুদ্ধ। এগুলোর যে বাস্তবতা, সেগুলোকে মাথায় রেখেই বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে। কারও প্রেসক্রিপশনে বাজেট দেওয়া হয়নি। অনেকে হয়তো বাজেট বুঝেও নাই, কিন্তু একটা গদবাঁধা কমেন্ট করে দিয়েছে।

ঢাকা মেইল: ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের মাধ্যমে অনেক পণ্যের দাম বাড়ছে। এ বিষয়ে কি বলবেন?

মোহাম্মদ আলী আরাফাত: ডিজিটাল বাংলাদেশে ছাড় দেওয়া হয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশ মানে হচ্ছে, ছাড় না পেলেও আপনাকে এগিয়ে যেতে হবে। নইলে আপনি তো স্মার্ট হলেন না। আপনার কখন ছাড় লাগে? যখন আপনি দুর্বল। কিন্তু আপনি যখন সবল হবেন, তখন নির্ভরশীল হলে হবে না। স্মার্টের দিকে আমরা যাচ্ছি বলেই আপনাকে এগিয়ে যেতে হবে। এখন আর সরকারের বিভিন্ন ছাড়, সুযোগ-সুবিধা এগুলোর ওপর নির্ভর করা যাবে না। স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য এগুলোই এপ্রোপ্রিয়েট।

ঢাকা মেইল: সাংবাদিকদের ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক হওয়া উচিত— বিষয়টি নিয়ে পেশাদার সাংবাদিকরা নিয়মিত দাবি জানিয়ে আসছেন। এ বিষয়ে সরকারের কোনো উদ্যোগ আছে?

মোহাম্মদ আলী আরাফাত: সব পেশারই কিছু নিয়ম আছে। সাংবাদিকদের জন্য কেন থাকবে না? এত বড় একটা পেশা! গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ বলা হয় গণমাধ্যমকে, সেখানে একটা নিয়ম-নীতি থাকা উচিত। তবে আমি মনে করি, সরকার যেটা নির্ধারণ করে দেবে, শুধু সেটাই না, প্রতিষ্ঠানগুলোরও দায় আছে, ভূমিকা আছে। একটা প্রতিষ্ঠান যখন কাউকে চাকরি দেয়, তখন তার সিভি দেখে, যোগ্যতা দেখে। সেগুলো তো দেখার সুযোগ আছে। সরকার যেটা করতে পারে, সরকার যাদেরকে এক্রিডিয়েশন কার্ড দেয়, এটা দেয়, ওটা দেয়, সেখানে সরকার হয়তো বলতে পারে যে, সাংবাদিক হিসেবে ন্যূনতম এতটুকু যোগ্যতা না হলে দিবে না। কিন্তু সরকার গোটা দেশের সাংবাদিকদের ন্যূনতম যোগ্যতা সেট করে দিতে পারে না। ধরেন আমি দিলাম। কিন্তু কোনো একটা মিডিয়া হাউজ তার বাইরে কাউকে চাকরি দিলো, এখানে তো সরকারের কিছু বলার থাকবে না। আমি মনে করি, এখানে সবার দায়িত্ব আছে, বিশেষ করে পেশাদার সাংবাদিকদের।

ঢাকা মেইল: ঢাকা-১৭ আপনার সংসদীয় আসন। উপ-নির্বাচনে স্বল্প সময়ের জন্য সংসদ সদস্য হলেও পরে জাতীয় নির্বাচনেও একই আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। সে সময় আপনি আসনটি নিয়ে বেশকিছু টেকসই পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন। সে বিষয়ে কোনো অগ্রগতি আছে কি?

মোহাম্মদ আলী আরাফাত: উপ-নির্বাচনে আমার কমিটমেন্ট ছিল জাতীয় নির্বাচনেও সেটার ধারাবাহিকতা ছিল। ইনশাআল্লাহ সেভাবে এগোচ্ছে, হচ্ছে। বড় কাজ যেটি আমি করতে চেয়েছিলাম, ভাষাণটেকের বস্তির পুনর্বাসন। সেটি নিয়ে আমি অনেকখানি এগিয়েছি। ভূমি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর সাথে আমি বসেছি। মন্ত্রণালয়ের যারা মাঠে কাজ করে তাদের সাথেও মিটিং হয়েছে। কি অবস্থায় আছে পুরো বিষয়টা, সেটাকে আমরা এনালাইজ করছি। এরপর কোনো পরিবর্তন, পরিবর্ধন করা যায় কিনা সেটা দেখছি। প্রোগ্রেস আছে, এগোচ্ছে। ভেতরে ভেতরে কিছু কিছু জায়গায় পানির সমস্যা আছে। রাস্তাঘাটে সমস্যা আছে, এগুলো আমরা একটার পর একটা করে যাচ্ছি। অনেকগুলো রাস্তার কাজে হাত দিয়েছি। পানি সমস্যা যেটা, সেটা আপাতত নিরসনের জন্য পাম্প লাগিয়েছি। আগামী দুই থেকে আড়াই বছরের মধ্যে একটা চিরস্থায়ী সমাধান হবে। বড় প্রজেক্টের কাজ চলছে।

গুলশান-বনানী-বারিধারা এলাকায় যারা বসবাস করে তাদের জন্য পর্যাপ্ত স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটি আছে। এর বাইরে যেসব এলাকা আছে, সেখানেও স্কুল-কলেজ-ইউনিভাসিটি আছে। কিন্তু পর্যাপ্ত নেই। আপাতত আমি যেটা করছি, সেগুলোকে সংস্কার করে পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনার মাধ্যমে দেখতে হবে, চাহিদা কতটুকু আছে, কোথায় কোথায় তৈরি করা যায়। পরিকল্পনা ছাড়া কোনো কিছু করব না। যেগুলো আছে সেগুলোকে আরও একটু সংস্কার করে কিভাবে বেটার জায়গায় নেওয়া যায়, অনেক স্কুল-কলেজ আছে, যেগুলো হয়ত সংস্কার করলে আরও অনেক ছাত্র-ছাত্রীকে জায়গা দিতে পারবে, নতুন একটা করার প্রয়োজন নাই।

Mohammad_A_Arafat--Inerview_2

ঢাকা মেইল: ঢাকা-১৭ আসনের নিম্নআয়ের মানুষের জন্য সরকারি হাসপাতালের সংকট রয়েছে বলে মনে করা হয়। বিষয়টি সম্পর্কে আপনি অবগত কি-না এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য হিসেবে এ বিষয়ে আপনার কোনো উদ্যোগ আছে কি-না?

মোহাম্মদ আলী আরাফাত: প্রাইভেট যে হাসপাতালগুলো আছে, সেগুলো ব্যয় বহুল না, চিকিৎসার জন্য যে খরচ লাগে সেটাই ব্যয়বহুল। কাজেই নিম্নবিত্তের মানুষের জন্য সরকারি হাসপাতালের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এখানে মূল যে খরচ, সেটা নেওয়া হয় না। কারণ সরকার সেখানে ভর্তুকি দেয়। সেটা করতে গেলে সমস্যা যেটা দাঁড়ায়— যতটুকু চাহিদা আর যে পরিমাণ যোগান আছে, তার মাঝে একটা গ্যাপ রয়ে গেছে। সেখানে দেখা যায় যে প্রচুর মানুষ লাইন ধরে আছে। এটা পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতেও হয়। যেমন ইউকেতে (যুক্তরাজ্য) বেসরকারি হাসপাতালে গেলে পয়সা বেশি খরচ হয়, তাড়াতাড়ি কাজ করা যায়। সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথে গেলে এক, সরকারি হাসপাতালে আরেক।

বাংলাদেশেও সে রকম একটা বাস্তবতা আছে। সরকার একটা চেষ্টা করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে, কিভাবে এখানে আরও বেশি নিম্নবিত্ত মানুষকে স্বাস্থ্য সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে অন্তর্ভুক্ত করা যায়। আমি শুধু আমার এলাকার মধ্যে না, গোটা বাংলাদেশ জুড়েই নিম্নবিত্তের মানুষ আছে, ওভারঅল একটা ইমপ্রুভমেন্টের প্রয়োজন আছে।

কারই