images

আন্তর্জাতিক

আশা দেখছেন কাশ্মিরের আপেল চাষিরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৮ মে ২০২৩, ০২:০৪ পিএম

ভারতের আপেল চাষের কেন্দ্র বলা হয় কাশ্মিরকে। লাখ লাখ মেট্রিক টন আপেল উৎপাদন করেন সেখানকার চাষিরা। তবে করমুক্ত আমদানি সুবিধা দেওয়ায় ভারতের ব্যবসায়ীরা বিদেশ থেকে সস্তার আপেল নিয়ে আসছিল। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিলেন কাশ্মিরের কৃষকরা। আপেলের দাম স্থির রাখতে ও চাষিদের সুবিধা দিতে আপেল আমদানিতে ন্যূনতম মূল বেঁধে দিয়েছে ভারত সরকার।

এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে জম্মু-কাশ্মিরের আপেল চাষিরা। তারা বলছেন যে, সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত আমদানি রোধ করে তাদের স্বার্থ রক্ষা করবে।

জম্মু ও কাশ্মির মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্যের পাশাপাশি উর্বর জমির জন্য পরিচিত। কয়েক দশক ধরে এটি ভারতের আপেল চাষের কেন্দ্রস্থল। এই অঞ্চলটি ভারতের আপেলের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ উৎপাদন করে। এটি রাজ্যের অর্থনীতিতে যথেষ্ট অবদান রাখে। 

২০১৯ সালে কাশ্মিরে প্রায় ১৯ লাখ মেট্রিক টন আপেল উৎপন্ন হয়েছিল, যা ভারতের মধ্যে সর্বোচ্চ। তবে সাম্প্রতিক সময়ে আপেলের ন্যায্য দাম না পাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ছেন সেখানকার চাষিরা। এটি জীবিকার উপর বিরূপ প্রভাব ফেলেছে।

কাশ্মিরের আপেল চাষিদের স্বার্থ রক্ষার প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করে ন্যূনতম আমদানি মূল্য (এমআইপি) প্রবর্তন করেছে ভারত সরকার। এর লক্ষ্য বিদেশি আপেল আমদানিতে নিরুৎসাহিত করা এবং কাশ্মিরের কৃষকদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য বাজার প্রদান করা। নতুন এই নীতিতে বলা হয়েছে, ৫০ রুপির কম দামের কোনও আপেল আমদানি করা যাবে না।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, এটি সস্তায় আমদানি করা আপেলের অতিরিক্ত সরবরাহ কমিয়ে স্থানীয় বাজারে আপেলের দাম স্থিতিশীল করতে সাহায্য করবে। এর ফলে স্থানীয় কৃষকরা ভালো দাম পাবে।

অল কাশ্মির ফ্রুট গ্রোয়ার্স ডিলারদের চেয়ারম্যান বশির আহমেদ বশীর, জম্মু ও কাশ্মির ফ্রুট অ্যান্ড ভেজিটেবল প্রসেসিং অ্যান্ড ইন্টিগ্রেটেড কোল্ড চেইন অ্যাসোসিয়েশনের (জেকেপিআইসিসিএ) সভাপতি মজিদ আসলাম ওয়াফাই, জেকে ফ্রুট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শহিদ চৌধুরীসহ আরও অনেকে এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।

বারামুল্লার আপেল চাষি মোহাম্মদ আইয়ুব দার বলেন, 'এমআইপি প্রবর্তন নিঃসন্দেহে একটি ইতিবাচক উন্নয়ন। জম্মু ও কাশ্মিরে আপেল শিল্পকে সমর্থন করা সরকারের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ।'

তিনি বলেন, 'সঞ্চয়-পরবর্তী ক্ষতি কমাতে এবং খামার থেকে বাজারে আপেলের সরবরাহের সুবিধার্থে স্টোরেজ সুবিধা এবং পরিবহন নেটওয়ার্কসহ অবকাঠামো উন্নত করার প্রচেষ্টা করা উচিত।'

একে