আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১৪ মে ২০২৩, ১১:৪০ এএম
বঙ্গোপসাগর দিয়ে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় মোখা বাংলাদেশের পাশাপাশি মিয়ানমারে সরাসরি আঘাত হানবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। দেশটির উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দারা চরম আতঙ্কে রয়েছেন। এরই মধ্যে কয়েক লাখ মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন। বেশ কয়েকটি শহরে জারি করা হয়েছে রেড অ্যালার্ট।
দ্য ইরাওয়াদ্দির খবরে বলা হয়েছে, মোখা রবিবার বিকেলে মিয়ানমারের সিত্তওয়ের কাছে আঘাত হানতে পারে। তার আগেই কয়েক লাখ রাখাইন নাগরিক তাদের বাড়িঘর ছেড়েছেন।
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা পূর্বাভাসে বলেছে, প্রতি ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বাতাসের গতিবেগে ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানতে পারে।
মিয়ানমারের জাতীয় ঐক্য সরকারও এ বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে। আর জান্তা কর্তৃপক্ষ সিত্তওয়ে, কিয়াউকফিউ, মংডু, রাথেডাং, মাইবোন, পাউকতাও এবং মুনাং শহরগুলোতে রেড এলার্ট জারি করেছে।
আরাকান আর্মির (এএ) মুখপাত্র খাইং থু খা বলেছেন যে, বুধবার থেকে তারা প্রায় এক লাখ দুই হাজার রাখাইন বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়েছে এবং স্বাস্থ্যসেবা ও খাদ্য সরবরাহ করছে। তিনি আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে ঝড়ের পরে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
ইরাওয়াদ্দির প্রতিনিধি ওয়াই হিন অং জানিয়েছেন, এক লাখের বেশি বেশি জনসংখ্যার সিত্তওয়ে টাউনশিপের প্রায় ৭৫ শতাংশ বাসিন্দা বাড়ি ছেড়েছেন।
সিত্তওয়ে এবং আশেপাশের গ্রাম থেকে আনুমানিক ১৫ হাজার লোক শহরের আর জেটে পাহাড়ের মঠে আশ্রয় নিয়েছে। ওয়াই হিন অং বলেন, সেখানে খাদ্য, ওষুধ ও টয়লেটের জরুরি প্রয়োজন রয়েছে।
তিনি বলেন, কোনও আন্তর্জাতিক সংস্থা আমাদের সাথে যোগাযোগ করেনি।
স্বেচ্ছাসেবক উ আয় অং এর মতে, উপকূলীয় রাথেদাউং শহরের প্রায় দুই হাজার গ্রামবাসী সায়তি পাইন গ্রামের মঠ এবং স্কুলে আশ্রয় নিচ্ছেন।
পাউকটাও টাউনশিপের একজন বাসিন্দা বলেছেন, আরাকান আর্মি বৃদ্ধ ও শিশুদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য এবং খাবার বিতরণের জন্য নৌকা ব্যবহার করছে।
এর আগে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মোখা রাখাইন রাজ্য ছাড়াও চিন, শান রাজ্য এবং সাগাইং, ম্যাগওয়ে, বাগো এবং মান্দালয় অঞ্চলে ১৭ মিলিয়ন (১ কোটি ৭০ লাখ) মানুষকে প্রভাবিত করতে পারে।
একে