images

আন্তর্জাতিক

কতটা বিধ্বংসী হতে পারে মোখা, যা বলল ভারতের আবহাওয়া অফিস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৩ মে ২০২৩, ০৯:৩২ এএম

ঘূর্ণিঝড় মোখা বঙ্গোপসাগরে শক্তি সঞ্চয় করছে। ফলে তা স্থলভাগে যখন আছড়ে পড়বে, এই ঘূর্ণিঝড়ের ধ্বংসলীলা নিয়ে নানা রকম আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ভারতের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এই মুহূর্তে মধ্য এবং দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে মোখা। গত কয়েক ঘণ্টায় ঘূর্ণিঝড়টি বঙ্গোপসাগরের ওই এলাকাতেই ধীরে ধীরে উত্তর দিকে এগিয়েছে।

উত্তরে অগ্রসরের সময় ঘূর্ণিঝড়ের গতি ছিল ঘণ্টায় ১৩ কিলোমিটার। আরও কিছুক্ষণ উত্তর ও উত্তর পশ্চিম দিকে এগোবে মোখা। তারপর সাগরেও উল্টো দিকে বাঁক নেবে।

মোখার গতিবিধিতে নজরে রেখেছে ভারতের আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বাংলাদেশের আবহাওয়া দফতরের মতো তারাও ঘূর্ণিঝড়ের গতিপ্রকৃতি নিয়ে বুলেটিন প্রকাশ করছেন।

ভারতের আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, মোখা এই মুহূর্তে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসাবে উত্তরে এগোচ্ছে। মাঝসমুদ্রে বাঁক নিয়ে সে তার অভিমুখ পরিবর্তন করবে।

উত্তর পূর্ব দিকে ঘুরে যাবে মোখা। তার পর ধীরে ধীরে এগিয়ে আসবে বাংলাদেশ এবং মিয়ানমারের উপকূলের দিকে। রবিবার স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে বলে জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ভোরবেলা দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে মোখা জন্ম নেয়। তারপর থেকে প্রায় ৭২ ঘণ্টা পানিতে থাকার কথা ঘূর্ণিঝড়ের। সাগর থেকে সে শক্তিসঞ্চয় করছে। সর্বশক্তি নিয়ে স্থলভাগে আছড়ে পড়বে মোখা।

আবহাওবিদরা জানিয়েছেন, যেকোনও ঘূর্ণিঝড়ই যত বেশি সময় ধরে পানিতে অবস্থান করে, তত তার শক্তি এবং ধ্বংসক্ষমতা বেশি হয়। সমুদ্র থেকেই যাবতীয় শক্তি সঞ্চয় করে সে। মোখার ক্ষেত্রেও তাই হচ্ছে।

৭২ ঘণ্টা জলে থাকার ফলে মোকার শক্তিবৃদ্ধি এবং প্রভাব নিয়ে নানা আশঙ্কা জন্ম নিয়েছে। কতটা বিধ্বংসী চেহারা নেবে এই ঘূর্ণিঝড়, মোকার তাণ্ডবে কী কী হতে পারে, সে সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছে।

তবে আশার কথা শুনিয়ে ভারতের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শনিবার ঘূর্ণিঝড়ের শক্তি কিছুটা ক্ষয় হতে পারে। যদি না হত, তবে আরও বিধ্বংসী হতে পারত মোখা।

ভারতের এখনও পর্যন্ত যা পূর্বাভাস, তাতে বলা হচ্ছে, রবিবার স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সময় ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৫০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার। দমকা হাওয়ার বেগ পৌঁছতে পারে ১৭৫ কিলোমিটারেও।

মোখার প্রভাবে শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, ত্রিপুরা, মিজোরামে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ভারী বৃষ্টি হতে পারে নাগাল্যান্ড, মণিপুর এবং দক্ষিণ আসামেও।

বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের উপকূলের দিকে এগোনোর কারণে মোখার প্রভাব সরাসরি পড়বে না পশ্চিমবঙ্গে। তবুও রাজ্যটি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং জেলেদের গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

সূত্র: আনন্দবাজার

একে