images

আন্তর্জাতিক

কয়েক ঘণ্টার মধ্যে জন্ম নেবে ‘মোখা’, রূপ নিতে পারে প্রবল ঘূর্ণিঝড়

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১০ মে ২০২৩, ০১:১১ পিএম

বঙ্গোপসাগরে ঠিক কখন জন্ম নিতে চলেছে ঘূর্ণিঝড় মোখা সেটি জানিয়েছে ভারতের আলিপুর আবহাওয়া দফতর। এক পূর্বাভাসে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে ঘনিয়ে ওঠা দুর্যোগ সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বুধবার সন্ধ্যার দিকে। পরের কয়েক ঘণ্টায় সেটি আরও শক্তি সঞ্চয় করে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বৃহস্পতিবার সকালেই।

আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়েছে- বুধবার আবহাওয়া দফতরের দেওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকালের পর আর শক্তি সঞ্চয় করতে পারে ঘূর্ণিঝড় মোখা।  এরপর একই জায়গায় অবস্থান করে সন্ধ্যার মধ্যে তা আরও শক্তিবৃদ্ধি করে পরিণত হবে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে। 

আলিপুর আবহাওয়া দফতর এই মর্মে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সমুদ্রে রেড এলার্ট জারি করেছে। মৎস্যজীবীদের বলা হয়েছে, যারা গভীর সমুদ্রে ইতোমধ্যেই চলে গেছেন, তারা যেন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার আগে উপকূলে ফিরে আসেন।

শুক্রবার থেকে উত্তর বঙ্গোপসাগর অর্থাৎ ওড়িশা-পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশের উপকূলের কাছাকাছি মৎস্যজীবীদের যেতে নিষেধ করে ভারতের আবহাওয়া দফতর। 

আলিপুর আবহাওয়া দফতর ঘূর্ণিঝড় সংক্রান্ত পূর্বাভাসে জানিয়েছে, শুক্রবার থেকেই সমুদ্রে তৈরি হওয়া অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ গতিপথ পরিবর্তন করতে পারে। সেক্ষেত্রে ১৪ মে অর্থাৎ রবিবার বাংলাদেশের কক্সবাজার এলাকা এবং মিয়ানমারের কাউকপু এলাকার কাছে পৌঁছবে ঝড়টি।

ভারতের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে যে, ভারতীয় উপকূল থেকে দিক পরিবর্তন করে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের দিকে এগোতে পারে এটি।

ঘূর্ণিঝড় কোন পথ ধরে এগোবে, কবেই বা আছড়ে পড়বে— এই নিয়ে জোর আলোচনা চলছে। প্রতিনিয়ত ঘূর্ণিঝড় নিয়ে পূর্বাভাস দিচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারতের আবহাওয়া দফতর। চাইলে আপনি নিজেই ঝড়ের গতিবিধি জানতে পারবেন। কীভাবে?

বেশ কিছু ‘সাইক্লোন ট্র্যাকার’ রয়েছে। অর্থাৎ, যেখানে ঘূর্ণিঝড়ের গতিবিধি দেখা যেতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে ‘জুম আর্থ’। ঘূর্ণিঝড় নিয়ে নানা আপডেট জানা যাবে এখান থেকে। কোন এলাকায় আঘাত হানতে পারে ঝড়, তা জানা যেতে পারে এই ট্র্যাকারের মাধ্যমে।

একে