images

আন্তর্জাতিক

জনি কিম: নেভির স্নাইপার, হার্ভার্ডের চিকিৎসক, গণিতবিদ ও নভোচারী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২৪ এপ্রিল ২০২৩, ০৫:০৫ পিএম

সাধারণ ছোটবেলায় বড় হয়ে যেসব হতে চান মানুষ সেগুলো একাই প্রায় অর্জন করেছেন মার্কিন নাগরিক জনি কিম। তিনি মার্কিন নৌবাহিনীর একজন সিল স্নাইপার। এর পাশাপাশি চিকিৎসাশাস্ত্রে পড়েছেন হার্ভার্ডের মতো প্রতিষ্ঠানে। স্নাতক করেছেন গণিতে এবং নাসার নভোচারী হিসেবেও নাম লিখিয়েছেন। জনি কিমের সাফল্য যে কাউকে অবাক করবে।

১৯৮৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসে জন্মগ্রহণ করেন জনাথন ইয়ং কিমের। দক্ষিণ কোরিয়া বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক জনি কিম। এখন ৪০ বছর বয়স হলেও ৩৭ বছরের মধ্যেই এতকিছু অর্জন করে ফেলেন তিনি।

Jonny Kim

২০১২ সালে ইউনিভার্সিটি অব সান ডিয়েগো থেকে গণিতের ওপর ব্যাচেলর ডিগ্রি নেন কিম। তবে এর আগে স্কুলের গণ্ডি পেরিয়েই ২০০২ সালে মার্কিন নৌবাহিনীতে যোগ দেন তিনি। মাত্র ১৮ বছর বয়সেই যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক বাহিনী নেভি সিলের সদস্য হন তিনি।

মধ্যপ্রাচ্যে দুইবার দায়িত্ব পালন করেন তিনি। সেখানে তিনি ওষুধ সরবরাহকারী, স্নাইপার, নেভিগেটর এবং পয়েন্ট ম্যান হিসেবে শতাধিক মিশনে অংশ নেন। তিনি সিলভার স্টার, ব্রোঞ্জ স্টার, নেভি অ্যান্ড মেরিন কর্পস কমেন্ডেশন মেডেল পান। নেভিতে লেফটেন্যান্ট-এর পদমর্যাদা পেয়েছিলেন তিনি। সামরিক ক্যারিয়ারে শতাধিক অভিযানে অংশ নিয়েছেন তিনি।

কিম যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতি দেখে চিকিৎসক হওয়ার গুরুত্ব বুঝতে পারে। এরপর ২০১৬ সালে হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুল থেকে স্নাতক হন এবং একজন চিকিৎসক হন। তবে এরপরও তিনি মানবতার জন্য আরও কিছু করতে চান। পৌঁছতে চান মহাকাশে।

Jonny Kim

২০১৭ সালে কিম একজন মহাকাশচারী প্রার্থীতার জন্য আবেদন করেন। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থার সেই স্কুলে ১৮ হাজার ৩০০ আবেদনের মধ্যে টিকে যান কিম। ২০১৭ সালে নাসার স্কুলের সুযোগ পাওয়া মাত্র ১৩ জনের একজন ছিলেন অসাধারণ মেধাবী এই তরুণ।পরে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা তাকে মহাকাশচারী হিসেবে নির্বাচিত করে। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে তিনি নাসা স্কুল থেকে স্নাতক হন। তিনি হলেন প্রথম কোরিয়ান-আমেরিকান মহাকাশচারী।

কিমকে নাসা এর আর্টেমিস মিশনের সদস্য হওয়ার জন্যও নির্বাচিত করা হয়েছে জনি কিমকে। ২০২৪ সালে এই অভিযানের মাধ্যমে চাঁদে হাঁটতে পারেন তিনি।

ছেলে ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আশির দশকের শুরুতে উত্তর কোরিয়া থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়িয়ে জমিয়েছিলেন তার বাবা-মা। কিমের অল্প শিক্ষিত বাবা খুলেছিলেন মদের দোকান। আর মা বেছে নেন স্কুলের শিক্ষকতাকে। তাদের সন্তান যে এতকিছু অর্জন করবে এবং বিশ্বকে অবাক করে দেবে তা হয়তো ভাবতে পারেননি জনি কিমের বাবা-মা।

সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার, ইন্টারেস্টিং ইঞ্জিয়ারিং

একে