আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৮:০৪ এএম
তুরস্ক-সিরিয়ার ভূমিকম্পের দশম দিন আজ। এখনও ধ্বংসস্তূপ থেকে অলৌকিক উদ্ধারের ঘটনা ঘটেই চলেছে। ভূমিকম্পের নবম দিনে ২১২ ঘণ্টা পর ৭৭ বছরের এক বৃদ্ধাকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
টিআরটির খবরে বলা হয়েছে, ভূমিকম্প আঘাত হানার ২১২ ঘণ্টার পর মঙ্গলবার তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্ব আদিয়ামান প্রদেশের ধ্বংসস্তূপ থেকে ৭৭ বছর বয়সী নারী ফাতমা গুঙ্গরকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
সাইটের একজন উদ্ধারকারী বলেন, 'আমি খুব উত্তেজিত, আমি কী বলব জানি না। আমরা প্রায় হাল ছেড়ে দেওয়ার পর্যায়ে চলে এসেছি।'
তিনি বলেন, 'আমরা খাইনি। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ এটা ভালোভাবে শেষ হয়েছে। আমি কোকেলি গোলকুক শিপইয়ার্ড [শ্রমিক] এবং এএফএডি [উদ্ধার দল] উভয়কেই ধন্যবাদ জানাই। আমরা আপনাকে পেয়ে আনন্দিত।'
এর আগে মঙ্গলবার হাতায়ে প্রদেশে ভূমিকম্পের প্রায় ২০৯ ঘন্টা পর একজন বাবা এবং তার মেয়েকে উদ্ধার করা হয়েছিল।আদিয়ামানে ভূমিকম্পের ২০৭ ঘণ্টা পর ধ্বংসস্তূপ থেকে রমাজান ইউসেল (৪৫) কে উদ্ধার করা হয়।
এছাড়া প্রায় ২০০ ঘণ্টা পর দুই ভাই বাকি ইয়েনিনার (২১) এবং মুহাম্মদ এনেস ইয়েনিনার (১৭) কাহরামানমারাস প্রদেশের ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা হয়। বাকি জানান যে, প্রোটিন শেক পান করে তিনি বেঁচে ছিলেন।
ভূমিকম্পের ১৯৮ ঘণ্টা পর আদিয়ামান প্রদেশে মোহাম্মদ ক্যাফার সেটিন (১৮) কে উদ্ধার করা হয়। সেটিনকে উদ্ধারকারী খনি শ্রমিক ইলিয়াস গুনেস বলেন যে, তারা বাড়ির লেআউট, এর কক্ষ কোথায়, তারা কোথায় ঘুমাতেন এবং তারা যে মেঝেতে থাকতেন সেসব বিষয় জানার চেষ্টা করেছেন। তারা ভূমিকম্পের সময় সবাই কোথায় ছিল তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছিলেন।
গুনেস বলেন, 'আমরা ভেবেছিলাম হয়তো তারা লিভিং রুমে টিভি দেখছে। আমরা যখন খননকারক দিয়ে আমাদের পায়ের নিচের ধ্বংসাবশেষ তুলছিলাম, তখন সেখানে একটি গর্ত খুলে গেল এবং হঠাৎ আমরা একটি আওয়াজ শুনতে পেলাম, আমি এখানে'।
সিরিয়া এবং তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪১ হাজার ছুঁয়েছে। এক টুইটাবার্তায় এটি জানিয়েছে স্পেক্টেটর ইনডেক্স। তুরস্কে ১০ লাখেরও বেশি মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে এবং সাহায্য সংস্থাগুলো বলছে যে, সিরিয়ায় এই সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।
তীব্র ঠাণ্ডা ও প্রতিকূল পরিবেশে ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়াদের জীবিত উদ্ধারের আশা আরও ক্ষীণ হয়ে এসেছে। বিশ্বের ৭০টিরও বেশি দেশ উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছে। ধ্বংসস্তূপের কংক্রিট সরালেই মিলছে লাশ।
একে