আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০২:৩৩ পিএম
তুরস্কে শক্তিশালী ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত হওয়ার নয় দিন পরও ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা হচ্ছে জীবিতদের। এসব ঘটনাকে অলৌকিক মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। উদ্ধারকারীরাও জীবিতদের উদ্ধারে মরিয়া চেষ্টা করছেন।
১৯৮ ঘণ্টা পর কাহরামানমারাস থেকে দুই ভাই মোহাম্মদ এনেস ইয়েনিনার ও বাকি ইয়েনিনারকে ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া আদিয়ামান প্রদেশে মোহাম্মদ ক্যাফার সেটিনকেও ১৯৮ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়। খবর আনাদুলু এজেন্সির
গত ৬ ফেব্রুয়ারি তুরস্ক ও সিরিয়ায় ৭.৮ ও ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর ফলে বিস্তীর্ণ অঞ্চল একেবারে ধসে গেছে। দুই দেশে প্রায় দশ হাজার ভবন মাটির সঙ্গে মিশে গেছে।
এখন পর্যন্ত তুরস্কে ৩২ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সিরিয়ায় এই সংখ্যাও ৭ হাজারের বেশি। আহত হয়েছেন প্রায় লাখখানেক মানুষ।
ভূমিকম্পে তুরস্কে ১০টি প্রদেশ জুড়ে ১৩ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এগুলো হলো- হাতায়, গাজিয়ানটেপ, আদিয়ামান, মালটিয়া, আদানা, দিয়ারবাকির, কিলিস, ওসমানিয়ে এবং সানলিউরফা।
ঘটনার ৯ দিনে ভূমিকম্পে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের জন্য মরিয়া অনুসন্ধান শেষ সময়ে রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন যে, সময় অতিবাহিত হয়েছে এবং বিল্ডিংয়ের তীব্রতার কারণে উদ্ধারের শেষ আশাও প্রায় নিভে যাচ্ছে।
মেক্সিকো ন্যাশনাল অটোনোমাস ইউনিভার্সিটির ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক এডুয়ার্ডো রেইনোসো অ্যাঙ্গুলো অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে বলেন যে, মানুষের জীবিত খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা এখন খুব কম।
তীব্র ঠাণ্ডা বাঁচার আশা আরও ক্ষীণ করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া টেকের জরুরি ওষুধের অধ্যাপক ডাঃ স্টেফানি লারেউ বলেন, ঠাণ্ডায় শরীর গরম রাখার জন্য কাঁপতে থাকে। এতে প্রচুর ক্যালোরি বার্ন হয়, যার ফলে খাবার থেকে বঞ্চিত লোকেরা আরও দ্রুত মারা যায়।
— ANADOLU AGENCY (@anadoluagency) February 14, 2023
একে