আন্তর্জাতিক ডেস্ক
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১০:৫২ পিএম
সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে মুসলিমদের পবিত্র গ্রন্থ কোরআন পোড়াতে চেয়েছে দেশটির উগ্রবাদীরা। কিন্তু, সুইডিশ পুলিশ তাদের এ বিষয়ে কোনো অনুমতি দেয়নি। জানুয়ারিতে কোরআন পোড়ানোর মতো উস্কানিমূলক ঘটনার পর এবার দেশটির পুলিশ এমন পদক্ষেপ নেয়। কারণ, এর আগে সুইডেনে কোরআন পোড়ানোর ঘটনা বিশ্বজুড়ে ব্যাপক নিন্দা কুঁড়িয়েছে।
সাধারণত সুইডিশ পুলিশ তথাকথিত উগ্রবাদী বিক্ষোভগুলোতে খুবই কম হস্তক্ষেপ করত। এটাকে তারা সমাবেশের স্বাধীনতা বলে মনে করে। এমন স্বাধীনতার সুযোগে দেশটির উগ্রবাদীরা এসব সমাবেশে কোরআন পোড়াতো।
তবে এবার সুইডিশ পুলিশ এ ধরনের সমাবেশের অনুমতি দেয়নি। কারণ, তারা মনে করে যে এ ধরনের প্রতিবাদ সুইডিশ স্বার্থের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক আক্রমণকে উস্কে দিতে পারে।
এবার বিক্ষোভের অনুমতি চেয়েছিল একটি স্বল্প পরিচিত সুইডিশ সংগঠন অপাল্লারকার্না। তাদের উদ্দেশ্য ছিল দেশটির ন্যাটো সদস্যপদের বিরোধীতা করে প্রতিবাদ করা। এছাড়া উগ্রবাদী রাসমুস পালুদানের মতো তুরস্কের দূতাবাসের সামনে একটি কোরআন পোড়ানো।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে তুর্কি দূতাবাসের বাইরে কোরআন পোড়ানোর ঘটনাটি সুইডিশদের বিরুদ্ধে মারাত্মক প্রতিশোধমূলক আক্রমণকে উস্কে দিয়েছিল। এটা বিদেশে সুইডেনের স্বার্থকে হুমকির মধ্যে ফেলেছিল। এ কারণে দেশটির পুলিশ ওই সিদ্ধান্ত নেয়। ফলে উগ্রবাদীরা এবার কোরআন পোড়াতে পারেনি।
এর আগে পুলিশ কর্মকর্তাদের সুরক্ষায় এবং ক্যামেরার সামনে পালুদান কোরআন পোড়ালে বেশ কয়েকটি মুসলিম দেশে সুইডেনবিরোধী বিক্ষোভ হয়। এছাড়া বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় ওঠে।
সূত্র : ডেইলি সাবাহ
এমইউ