আন্তর্জাতিক ডেস্ক
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৯:৩৩ পিএম
ভ্যালেন্টাইন'স ডে বা বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে ভারতবাসীকে গরুর সঙ্গে সেলফি তোলার আহ্বান জানিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় সংস্থা পশু কল্যাণ পরিষদ। এর পেছনে তাদের যুক্তি, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পশ্চিমা সংস্কৃতির অগ্রগতির কারণে বৈদিক ঐতিহ্য প্রায় বিলুপ্তির পথে। সেই কারণেই, গরুকে আলিঙ্গন করলে মানসিক সমৃদ্ধি আসবে।
কেন্দ্রীয় সংস্থার পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে- ভালোবাসা দিবসকে যেন ‘গো-আলিঙ্গন দিবস’ হিসেবে পালন করেন গবাদি পশু প্রেমিকেরা। কেন্দ্রীয় মৎস্য এবং পশুপালন মন্ত্রণালয়ের অধীন রয়েছে পশু কল্যাণ পরিষদ। এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পুরুষোত্তম রুপালা।
বিশ্বব্যাপী ১৪ ফেব্রুয়ারি ‘ভ্যালেন্টাইন'স ডে’ বা বিশ্ব ভালোবাসা দিবস হিসেবে পালিত হয়। এ দিনে ভালোবাসার মানুষকে ভালোবাসা নিবেদন করে থাকেন প্রেমিক-প্রেমিকেরা। সেই দিনটিকেই কিনা এবার ‘গো-আলিঙ্গন দিবস’ হিসেবে পালনের আহ্বান জানাল কেন্দ্রীয় সংস্থাটি।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) জারি করা ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘‘আমরা সকলেই জানি যে, গরু হলো ভারতীয় সংস্কৃতি এবং গ্রামীণ অর্থনীতির মেরুদণ্ড। আমাদের জীবন বাঁচিয়ে রাখার পাশাপাশি গবাদি পশু সম্পদ এবং জীববৈচিত্রের প্রতিনিধিত্ব করে। গরু আমাদের মায়ের মতো। গরু ‘কামধেনু’ এবং ‘গোমাতা’ নামেও পরিচিত। গরু মানবতাকে সমৃদ্ধ করে।”
পশু কল্যাণ বোর্ডের যুক্তি, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পশ্চিমা সংস্কৃতির অগ্রগতির কারণে বৈদিক ঐতিহ্য প্রায় বিলুপ্তির পথে। আর সেই কারণেই, গরুকে আলিঙ্গন করলে মানসিক সমৃদ্ধি আসবে। যা আমাদের ব্যক্তিগত সুখ বৃদ্ধি করবে। তাই ১৪ ফেব্রুয়ারি সকল গোপ্রেমীরা গরুকে জড়িয়ে ধরে ‘গো-আলিঙ্গন দিবস’ উদযাপন করতে পারে।
এর আগে, ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযান’ থেকে শুরু করে ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ সহ কেন্দ্র থেকে পালন করতে বলা সকল কর্মসূচিতেই সেলফি তুলে তা পোস্ট করার কথা কেন্দ্র থেকে বলা হয়। কিন্তু কেন্দ্রীয় সংস্থার পক্ষ থেকে পালন করতে বলা ‘গো-আলিঙ্গন দিবস’এও কি সেলফি তুলে পোস্ট করতে হবে? এই প্রশ্নও উঠছে অনেকের মনে।
পশু কল্যাণ পরিষদ যুক্তি দেখিয়েছে, গরুকে আলিঙ্গন করে পশ্চিমা সংস্কৃতির প্রত্যাখ্যান করা সম্ভব। তবে বেশ কিছু দেশে গরুর প্রতি সম্মান জানানোর রীতি আছে। নেদারল্যান্ডসে ‘কো নাফেলেন’ (ডাচ ভাষায় গরুকে আলিঙ্গন করা) বলে এক রীতির প্রচলন আছে, যেখানে গরুকে জড়িয়ে ধরে আদর করে তাদের পালকেরা।
সূত্র: আনন্দবাজার
এমএইচএম