images

আন্তর্জাতিক

ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে মেসেজ পাঠিয়ে বাঁচার আকুতি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৬:২৭ পিএম

তুরস্ক এবং সিরিয়ায় মারাত্মক ভূমিকম্পের পর হাজার হাজার হতাহত মানুষকে উদ্ধারে অভিযান চলছে। এমন সময়ে বিভিন্ন বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, বাঁচার আকুতি নিয়ে ভুক্তভোগী অনেক ব্যক্তি ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকেও মেসেজ পাঠাচ্ছেন। এমনকি তারা বলছেন যে তারা কোথায় অবস্থান করছেন।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে,  (তুরস্কের রাজধানী) ইস্তাম্বুলভিত্তিক এক তুর্কি সাংবাদিক আমাদের সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি সেখানকার পরিস্থিতিও ব্যাখ্যা করছেন।

ইব্রাহিম হাসকোলোগ্লু নামের ওই সাংবাদিক বলেন, অসংখ্য মানুষ এখনও [ধ্বসে পড়া] ভবনের নিচে রয়েছে। তাদের সাহায্যের প্রয়োজন।

ইব্রাহিম মূলত তুরস্কের মালাতিয়া এলাকার বাসিন্দা। এটা গতকালের ভূমিকম্পে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত একটি এলাকা। এ বিষয়ে ওই সাংবাদিক বলেন, তিনি এখন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ওই এলাকায় যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। যাতে তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করতে পারেন।

বিবিসি নিউজ চ্যানেলকে ইব্রাহিম হাসকোলোগ্লু বলেন, লোকেরা ধ্বংসস্তূপের নীচে থেকে তাকে এবং অন্যান্য সাংবাদিকদের ভিডিও, ভয়েস মেসেজ এবং তাদের লাইভ ভিডিও পাঠাচ্ছেন।

ইস্তাম্বুলভিত্তিক তুর্কি সাংবাদিক ইব্রাহিম হাসকোলোগ্লু

তিনি বলেন, ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে পড়া ব্যক্তিরা আমাদের বলছে যে তারা কোথায় আছে। কিন্তু, আমরা কিছুই করতে পারছি না। তুরস্কের জন্য এখন আন্তর্জাতিক সহায়তা প্রয়োজন। যাতে করে দেশটি এ ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পারে।

এ বিষয়ে ব্লিউএইচও-এর শীর্ষ কর্মকর্তা অ্যাডেলহেইড মার্শাং বলেন, ‘ভূমিকম্প যেসব অঞ্চলে সংঘটিত হয়েছে, তার মানচিত্র অনুসারে বলা যায় যে দুই কোটি ৩০ লাখ মানুষ এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এদের মধ্যে ৫০ লাখ মানুষ অরক্ষিত অবস্থায় আছে।

তিনি আরও বলেন, তুরস্ক এবং উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ার ভূমিকম্প কবলিত অঞ্চলে বেসামরিক অবকাঠামো ও স্বাস্থ্য সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অবকাঠামোগুলোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। 

জেনেভায় ডব্লিউএইচও-এর নির্বাহী কমিটিকে মার্শাং বলেছেন, ‘ডব্লিউএইচও মনে করে যে সিরিয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে বিভিন্ন জরুরি পণ্যের অভাব দেখা দিবে। এমনকি দেশটিতে মধ্যমেয়াদী সময়ের জন্য আরও এমন সমস্যা দেখা দিতে পারে।

বর্তমানে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চল এবং উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ার বহু অংশ প্রবল ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত হয়েছে। উভয় দেশে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। শুধু তুরস্কেই ধসে পড়েছে সাড়ে তিন হাজার ভবন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে যে ভূমিকম্পে মৃত্যুর সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওই অঞ্চলে কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাস পর্যন্ত আফটারশক হতে পারে। সিএনএনের আবহাওয়াবিদ ক্যারেন ম্যাগিনিস ব্যাখ্যা করে জানিয়েছেন যে ভূকম্পনের বৈশিষ্ট্যের কারণে আফটার শক পরের কয়েক সপ্তাহ, এমনকি কয়েক মাস পর্যন্তও অনুভূত হতে পারে।

সূত্র : বিবিসি, আল-জাজিরা

এমইউ