আন্তর্জাতিক ডেস্ক
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৮:৫৩ এএম
তুরস্ক-সিরিয়ায় হাজার হাজার বিধ্বস্ত ভবনের নিচ থেকে এখনও আসছে বাঁচার আকুতি। এসব ভবন এতটায় ধ্বংস হয়েছে যে তাদেরকে উদ্ধারে হিমশিম খাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। বাঁচার আকুতি শুনতে পেলেও অনেকের কাছে পৌঁছতে পারছেন না তারা।
ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে তুরস্ক ও সিরিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চল। ধসে পড়া হাজার হাজার ভবনের নিচে এখনও আটকে রয়েছে বহু মানুষ। তাদের চিৎকার ও স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে বাতাস। এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা প্রায় ৪ হাজার ছুঁয়েছে। তীব্র ঠাণ্ডায় কিছুটা বাধাগ্রস্ত হলেও পুরোদমে চলছে উদ্ধার কাজ। খবর রয়টার্সের
সোমবার ভোরে হওয়া ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পে উভয় দেশ ব্যাপক ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে। বড় বড় ভবন, অ্যাপার্টমেন্ট, হাসপাতালসহ বহু ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে। গৃহহীন হয়ে পড়েছেন অনেকে। তবে হিমশীতল ঠাণ্ডায় উদ্ধার প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
দক্ষিণাঞ্চলীয় হাতায় প্রদেশে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকা এক নারীকে সাহায্যের আহ্বান জানাতে শোনা যায়। তার পাশেই পড়ে আছে এক শিশুর লাশ।
ভূমিকম্প ও ধ্বংস্তূপের মধ্যে থেমে থেমে চলেছে বৃষ্টিও। এর মধ্যে কাঁদতে কাঁদতে ডেনিজ নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা হাত বুলাচ্ছিলেন। তিনি কাঁতর কণ্ঠে বলেন, ''তারা শব্দ করছে কিন্তু কেউ আসছে না। আমরা বিধ্বস্ত, আমরা বিধ্বস্ত। হে ঈশ্বর... তারা ডাকছে। তারা বলছে, 'আমাদের বাঁচাও,' কিন্তু আমরা তাদের বাঁচাতে পারছি না। আমরা কীভাবে তাদের বাঁচাতে যাচ্ছি?।''
ভূমিকম্পে শুধু তুরস্কে নিহতের সংখ্যা প্রায় তিন হাজার ছুঁয়েছে। সিরিয়ায়ও দেড় হাজার ছুঁয়েছে মৃত্যু। এখন পর্যন্ত তুরস্কে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন।
বিদ্রোহীদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চলে দামেস্ক সরকার এবং উদ্ধারকর্মীদের পরিসংখ্যান অনুসারে সিরিয়ায় কমপক্ষে ১৪৪৪ জন নিহত এবং প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষ আহত হয়েছেন।
সিরিয়ায় ভূমিকম্পের পরিস্থিতি তুরস্কের চেয়েও ভয়াবহ। ১১ বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধে আগে থেকেই ধ্বংসাবস্থায় রয়েছে দেশটি। তার মধ্যে এমন ভয়াবহ ভূমিকম্প পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে।
বিভিন্ন দেশের সেনা ও উদ্ধারকারী বাহিনী তুরস্কে পৌঁছেছে এবং অনেক দেশের বাহিনী রওনা করেছে। এছাড়া প্রয়োজনীয় সহায়তা নিয়েও হাজির হচ্ছে অনেক দেশ।
একে