আন্তর্জাতিক ডেস্ক
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৪:১২ পিএম
ভয়াবহ ভূমিকম্পে ধ্বংস্তুপে পরিণত হয়েছে তুরস্ক ও সিরিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা। ধসে পড়েছে হাজার হাজার ভবন। ক্ষণে ক্ষণে উদ্ধার হচ্ছে মৃতদেহ ও আহতরা। গত ৮৪ বছরে এমন ভয়াবহ ভূমিকম্পের মুখোমুখি হয়নি তুরস্ক। সর্বশেষ ১৯৩৯ সালে এমন বিপর্যয়কর ভূমিকম্প দেখেছিল দেশটি।
৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ার কয়েকটি অঞ্চল ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধসে পড়েছে হাজার হাজার ঘরবাড়ি। ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ছুঁয়েছে ৭০০ জনে। নিহতদের মধ্যে প্রায় সমসংখ্যক মানুষ রয়েছে দুই দেশের। আহত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ।
হাসপাতাল ও ধসে পড়া ভবনগুলোর সামনে স্বজনদের খুঁজতে ভিড় করছেন সাধারণ মানুষ। সোমবার ভোররাতের এই ভূমিকম্পের সময় বেশিরভাগ মানুষই ঘুমিয়ে ছিলেন।
কোনও কোনও পরিবারে সকল সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। শোকপালন করবেন বলেও আত্মীয়-পরিজন নেই অনেকের। ধ্বংসস্তূপের তলায় এখনও বহু মানুষ আটকে রয়েছেন। তাদেরকে উদ্ধারে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট বাহিনী। সাধারণ মানুষও এতে হাত লাগিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের জিওলজিক্যাল সার্ভে অনুমান করে বলেছে যে, এই ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা হাজার ছাড়াতে পারে। তুরস্ক প্রশাসন জানিয়েছে ভূমিকম্পে প্রায় দুই হাজার বিল্ডিং ধসে পড়েছে।
তুরস্কের কাহরামানমারাস, হাতায়, ওসমানিয়ে, গাজিয়ানটেপ, সানলিউরফা, দিয়ারবাকির, মালতায়া এবং আদানাসহ বিভিন্ন অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া সিরায়ার আলেপ্পো, হামা এবং লাত্তাকিয়াসহ কয়েকটি অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তুরস্ক ও সিরিয়া উভয় দেশ দুর্যোগ ও জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে।
দ্রুত উদ্ধারকাজের জন্য আন্তর্জাতিক সাহায্য কামনা করেছে তুরস্ক। এরই মধ্যে তুরস্কের ভূমিকম্পের দিকে নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সৌদি আরবও তুরস্কের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তুরস্ক ও সিরিয়ার পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। পাকিস্তান-ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও নেতা তুরস্কে নিহতদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
এই ঘটনা তুরস্কবাসীদের ১৯৩৯ সালের ভূমিকম্পের স্মৃতি ফিরিয়ে দিয়েছে। সেই ভূমিকম্পে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ মারা গিয়েছিলেন। সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে এই বিপদ মোকাবেলা করবেন বলে বার্তা দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।
একে