images

আন্তর্জাতিক

তুরস্ক-সিরিয়ায় আহাজারি: নিহত দুই শতাধিক, হাজার ছাড়াতে পারে মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১১:৪৬ এএম

তীব্র ভূমিকম্পে ভয়াবহ ট্র্যাজেডির মুখে পড়েছে তুরস্ক। ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পে দেশটির কয়েকটি অঞ্চল ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধসে পড়েছে শত শত ঘরবাড়ি। এখন পর্যন্ত তুরস্ক ও সিরিয়ায় দুই শতাধিক মানুষের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে স্থানীয় প্রশাসন। যুক্তরাষ্ট্রের জিওলজিক্যাল সার্ভে অনুমান করে বলেছে যে, এই ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা হাজার ছাড়াতে পারে।

এবিসি নিউজ ও স্পেক্টেটর ইনডেক্স জানিয়েছে, ভূমিকম্পে আহত হয়েছেন হাজারের বেশি মানুষ। তুরস্কের কাহরামানমারাস, হাতায়, ওসমানিয়ে, গাজিয়ানটেপ, সানলিউরফা, দিয়ারবাকির, মালতায়া এবং আদানাসহ বিভিন্ন অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। 

এছাড়া সিরায়ায় অন্তত তিনটি শহরেই মৃত্যু হয়েছে শতাধিক মানুষের। শহরগুলো হলো- আলেপ্পো, হামা এবং লাত্তাকিয়া। তুরস্ক ও সিরিয়া উভয় দেশ দুর্যোগ ঘোষণা করা হয়েছে।

ভূমিকম্পে শত শত ঘরবাড়ি ধসে পড়েছে। এমন অবস্থায় যেকোনও দেশ থেকে আন্তর্জাতিক সাহায্য পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছে তুরস্কের সরকার। 

ভূমিকম্পের পর সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক বার্তায় এরদোয়ান বলেন, কাহারামানমারাসে যে ভূমিকম্প হয়েছে এবং আমাদের দেশের বিভিন্ন জায়গায় অনুভূত সকল নাগরিকদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। আমাদের সকল প্রাসঙ্গিক ইউনিট এএফএডি এর পরিচালনায় উদ্ধার কাজ পরিচালনা করছে।

earthquake

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট জানান, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় আমাদের অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল প্রেরণ করা হয়েছে। আমাদের অভ্যন্তরীণ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, এএফএডি, গভর্নর এবং অন্যান্য সকল প্রতিষ্ঠান দ্রুত কাজ শুরু করেছে।

এরদোয়ান বলেন, ভূমিকম্পের পর শুরু কাজগুলো আমরা সমন্বয় করছি। আমরা আশা করি যে আমরা যে দুর্যোগ সম্মুখীন হচ্ছি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এবং সর্বনিম্ন ক্ষতির সঙ্গে এই বিপর্যয় কাটিয়ে উঠব। আমরা আমাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।

স্থানীয় সময় সোমবার ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে ৭.৮ মাত্রার শক্তিশালী এই ভূমিকম্পের ফলে বহু ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। আটকে পড়া হাজার হাজার মানুষকে উদ্ধারে অভিযান চলছে।

শক্তিশালী এই ভূমিকম্পের ফলে ধসে পড়ে ভবনগুলোর নিচে অনেক মানুষ আটকা পড়েছেন। ধ্বংসস্তূপে হন্যে হয়ে স্বজনদের খুঁজছেন মানুষ। কেউবা আহতদের উদ্ধারের পর ছুটছেন হাসপাতালের পথে। হাসপাতাল ও ধসে পড়া ভবনগুলোর সামনে স্বজনদের কান্না আর আহাজারি যেন থামছেই না।

একে