আন্তর্জাতিক ডেস্ক
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০২:৪৪ পিএম
এফ-১৬ ফাইটিং ফ্যালকন মূলত মার্কিন বিমানবাহিনীর (ইউএসএএফ) একটি একক ইঞ্জিনের বহুভূমিকাযুক্ত যুদ্ধ বিমান। বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে যেকোনো আবহাওয়ায় এটি উড়তে ও আঘাত হানতে সক্ষম। সম্প্রতি রাশিয়ার আক্রমণের শিকার ইউক্রেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এই যুদ্ধবিমানের আবদার করেছে। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখনই ইউক্রেনকে এটি দিতে চায় না। চলুন জেনে নিই এই অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান কতটা শক্তিশালী?
সর্বাধুনিক যুদ্ধবিমান এফ-১৬ তৈরি করে লকহিড মার্টিন। মূলত অর্থ সাশ্রয়ী হালকা বহুমুখী বিমান হিসাবেই তৈরি করা হয় এফ ১৬ বিমান। আরেক মার্কিন ব্যয়বহুল বিমান এফ ১৫কে সাহায্য করতেই এই পদক্ষেপ নিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। ‘এয়ার টু এয়ার’ হামলার ক্ষেত্রে এফ ১৬ অত্যধিক সফল।
এফ ১৬ এর ‘নাইট ভিশন’ যথেষ্ট শক্তিশালী। অর্থ্যাৎ রাতেও এটি একই শক্তিতে হামলা চালাতে পারে। কামান, ক্ষেপণাস্ত্র, বোমা সবরকম অস্ত্রই থাকে এতে। এফ ১৬ এর বাঁ দিকের ডানায় থাকে একটি ২০ এমএম এম৬১ ভালকান কামান। এফ ১৬-এর কামানের গুলির হার ৬ হাজার রাউন্ড প্রতি মিনিটে।
এর ককপিট অনেক উন্নত। এতে রয়েছে মাল্টিফাংশনাল ডিসপ্লে। এর ফলে সুপার ইমপোজড রাডার ডেটা দেখতে পারেন পাইলট। এফ ১৬-এর রাডার অত্যন্ত শক্তিশালী। এই বিমানে ভার্টিকল স্টেবিলাইজার আছে। ৩৬০ ডিগ্রি ভিউ সম্ভব যুদ্ধের সময়ও।
আরও পড়ুন: কেন ইউক্রেনকে এফ-১৬ দিতে চায় না যুক্তরাষ্ট্র?
মাটিতে থাকা যেকোনও চলন্ত বস্তুকেও নিশানা করতে সক্ষম এই যুদ্ধবিমান। প্রতি ঘণ্টায় ওড়ে ২৪১৪ কিলোমিটার। আকাশপথে যুদ্ধের ক্ষেত্রে এফ ১৬ কে অনেক অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানের চেয়ে এগিয়ে রাখেন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়া এফ-১৬ এর অস্ত্র রাখার ক্ষমতাও ক্ষমতাও অবিশ্বাস্য। ২১,২৮২ কেজি বিস্ফোরক নিয়ে ওড়ার ক্ষমতা রয়েছে এফ ১৬-এর।
১৯৭৬ সালে উৎপাদনের অনুমোদনের পর থেকে ৪,৬০০ টিরও বেশি এফ-১৬ নির্মিত হয়েছে। তবে মার্কিন বিমানবাহিনী এখন আর এটি কেনে না। বিভিন্ন দেশের কাছে এর উন্নত সংস্করণ বিক্রি করা হয়। জেনারেল ডায়নামিক্স ১৯৯৩ সালে তার বিমান উৎপাদন ব্যবসা লকহিড কর্পোরেশনের কাছে বিক্রি করে। মার্টিন মেরিয়েটার সাথে ১৯৯৯ সালেএকীভূত হওয়ার পরে লকহিড মার্টিনের অংশ হয়ে যায়।
এফ-১৬ এর আনুষ্ঠানিক নাম 'ফাইটিং ফ্যালকন'। তবে অনুভূত সাদৃশ্যের কারণে 'ভাইপার' নামটি সাধারণত বিমানের চালক ও কর্মীদের দ্বারা ব্যবহৃত হয়।
মার্কিন বিমানবাহিনী, এয়ার ফোর্স রিজার্ভ কমান্ড ও এয়ার ন্যাশনাল গার্ড ইউনিটসমূহে সক্রিয় দায়িত্ব ছাড়াও, বিমানটি মার্কিন বিমানবাহিনীর থান্ডারবার্ডস বায়বীয় প্রদর্শন দল ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর একটি আগ্রাসী বিমান হিসাবে ব্যবহৃত হয়। অন্তত ২৫ টি দেশের বিমানবাহিনীতে এফ-১৬ রয়েছে। ২০১৫ সালের হিসাবে সামরিক সেবার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত বিশ্বের সর্বাধিক সংখ্যক ফিক্স-উইং বিমান এটি।
একে