আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২৩ ডিসেম্বর ২০২২, ০৯:০৩ পিএম
চীনে নতুন করে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঢেউ দেখা দিয়েছে। এমন অবস্থায় সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে চাইছে ভারত। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিদেশিদের জন্য করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট বাধ্যতামূলক করছে দেশটি।
করোনার নতুন উপরূপ ওমিক্রন বিএফ.সেভেন সংক্রমণ ছড়াচ্ছে চীনে। ভারতেও মিলেছে করোনার এই উপ-ধরন। এই পরিস্থিতিতে ভারতের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় আন্তর্জাতিক বিমান যাত্রীদের জন্য বিশেষ বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। বিদেশি যাত্রীদের জন্য বিমানবন্দরে করোনা টেস্ট রিপোর্ট দেখানো বাধ্যতামূলক করার পরিকল্পনা নিয়েছে ভারত সরকার। খবর নিউজ এইট্টিনের
আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে ভারতে যাওয়া যাত্রীদের মানতে হবে কিছু নিয়ম-
- যাত্রীদের কোভিড ভ্যাক্সিন এর সবকটি ডোজ (যে দেশ থেকে আসছেন, সেই দেশের কোভিড ভ্যাক্সিন ডোজ অনুযায়ী) নেওয়া থাকলে ভাল।
- মাস্ক ও ফিজিক্যাল ডিস্ট্যান্সিং মেনে চলতে হবে।
- যাত্রাকালীন যেসব যাত্রীদের মধ্যে কোভিড-১৯-এর উপসর্গ দেখা গিয়েছে, তাঁদের নির্দিষ্ট বিধি মেনে আইসোলেশনে থাকতে হবে।
-বিমানবন্দরে প্রবেশের পর যাত্রীদের থার্মাল স্ক্রিনিং বাধ্যতামূলক। থার্মাল স্ক্রিনিংয়ে যেসব যাত্রীদের মধ্যে কোভিডের উপসর্গ মিলবে, তৎক্ষণাৎ তাদের আইসোলেশনে পাঠাতে হবে।
-বিমানে থাকা যাত্রীদের ২ শতাংশের র্যান্ডম টেস্টিং হবে।
বিমানবন্দরে করোনা টেস্ট রিপোর্ট দেখানো বাধ্যতামূলক করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মানসুখ মাণ্ডব্য। শুক্রবার তিনি বলেন, বর্তমানে কোন কোন দেশে করোনার উচ্চ সংক্রমণ চলছে, সে তথ্য সংগ্রহে আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কাজ শুরু করেছে।
তিনি বলেন, ‘আশা করি, এক সপ্তাহের মধ্যেই আমরা সে তালিকা হাতে পাবো। পরে তালিকায় থাকা দেশগুলোর যাত্রীদের ওপর নতুন করে জারি করা নিয়ম প্রয়োগ করা হবে।’
ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, তালিকাভুক্ত দেশগুলোর যাত্রীদের কাছ থেকে আমরা আরটি-পিসিআর টেস্ট রিপোর্টই আশা করবো। ভারতে অবতরণের পর বিমানবন্দরে তাদের এ রিপোর্ট দেখাতে হবে। পাশপাশি তাদের থার্মাল স্ক্রিনিং করা হবে।
চলতি মাসের প্রথম দিকে কঠোর বিধি-নিষেধ শিথিল করতে না করতেই চীনে করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি ঘটে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক স্বাস্থ্যসংক্রান্ত গবেষণা প্রতিষ্ঠান এয়ারফিনিটি জানায়, চীনে প্রতিদিন ১০ লাখেরও বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। দিনপ্রতি মৃত্যুর সংখ্যা ৫ হাজারের বেশি।
২০২০ সালে করোনা মহামারি শুরুর পর বিশ্বের যেসব দেশে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু ঘটে, সেসব দেশের মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। সরকারি হিসেব অনুযায়ী, মহামারির গত আড়াই বছরে দেশটিতে করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৪ কোটি ৪৬ লাখ ৭৭ হাজার ৮২০ জন ও করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫ লাখ ৩০ হাজার ৬৯০ জন ভারতীয় নাগরিক।
একে