আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১৯ ডিসেম্বর ২০২২, ০৩:৩৬ পিএম
শেষের পথে এগোচ্ছে মানবজাতিকে হুমকির মুখে ফেলা মহামারি করোনাভাইরাস। তবে প্রকোপ কমলেও এখনো অস্তিত্ব রয়েছে বিশ্বজুড়ে। বিভিন্ন দেশ এখনো করোনার বিস্তার রোধ নিয়ে উদ্বিগ্ন। বিশেষ করে চীনে ফের করোনা সংক্রমণ বেড়েছে।
মহামারি শুরুর প্রায় এক বছর পর টিকা আবিষ্কার করতে সক্ষম হন বিজ্ঞানীরা। তারপর থেকে করোনার ঢেউ অনেকটা কমে আসে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ করোনা টিকার বুস্টার ডোজ দিয়েছে। তবে অনেক দেশই এখনো করোনার বাড়বাড়ন্ত নিয়ে চিন্তিত।
সম্প্রতি চীনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মারাত্মক হারে বেড়েছে। শুরু থেকেই জিরো কোভিড নীতিতে চলে আসা চীনে লকডাউন আর কোয়ারেন্টাইনে বিরক্ত হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। সম্প্রতি তারা এ নিয়ে ব্যাপক বিক্ষোভ করে। শেষ পর্যন্ত সংক্রমণ বাড়লেও করোনা নীতি শিথিল করার ঘোষণা দিয়েছে শি জিনপিং সরকার।
২০২০ সালে থেকে দাপট শুরু করা করোনাভাইরাসে কেঁপেছে গোটা বিশ্ব। তবে সেই ধারা ২০২১ সালের শেষে অনেকটাই কমে যায়। একাধিক কোম্পানি করোনার টিকা তৈরি করে সাড়া ফেলে। তবে শেষ সময়ে ভীতি ছড়ায় করোনার ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট। সেটিও এখন প্রায় বিলীনের পথে।
৬৬ কোটির বেশি মানুষের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আর মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৬৭ লাখ মানুষের। করোনায় হতাহতের প্রথম দশটি দেশের মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ভারত, ফ্রান্স, জার্মানি, ব্রাজিল, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, ইটালি, যুক্তরাজ্য ও রাশিয়া।
২০১৯ সালের শেষ দিকে চীনের উহানে প্রথম এই ভাইরাস শনাক্ত হয়। তবে এর উৎস সম্পর্কে কোনো সঠিক তথ্য জানা যায়নি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞরা চীনের নির্দিষ্ট স্থানগুলো পরিদর্শন করেও কোনো সমাধান দিতে পারেননি।
বিশ্ব করোনাভাইরাস নিয়ে গা ছাড়া দিলেও ডব্লিউএইচও প্রধান টেড্রোস আধানম ঘ্রেব্রেয়াসুস বিভিন্ন দেশকে এ বিষয়ে সতর্ক করেছেন। ভীতি নয় বরং করোনার বিষয়ে এখনো সচেতনতা জরুরি বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
বিশ্বে এখন পর্যন্ত (১৯ ডিসেম্বর) করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ৬৫ কোটি ৭৯ লাখ ১৮ হাজার ৫৯৮ জনের। মৃত্যু হয়েছে ৬৬ লাখ ৭২ হাজার ৩০৯ জনের। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়েছেন ৬৩ কোটি ১৬ লাখ ৩৩ হাজার ৫৫২ জন।
একে