আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১৩ ডিসেম্বর ২০২২, ০১:২৪ পিএম
কাঠ ও কয়লার দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি ঘাটতির কারণে প্রতি বছর শীতকালে পাকিস্তানে গ্যাসের ঘাটতি একটি উল্লেখযোগ্য সমস্যা। গত বছরের তুলনায় কাঠ ও কয়লার দাম দ্বিগুণ হওয়ায় সেই সংকট এবার আরও তীব্র হয়েছে।
পাক সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই বলেছে, সিন্ধু, পাঞ্জাব এবং খাইবার পাখতুনখোয়ার বেশ কয়েকটি শহরে মিলছে না গ্যাস। এছাড়া ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কারণে করাচি, লাহোর, হায়দ্রাবাদ, মুলতান, পেশোয়ার এবং রাওয়ালপিন্ডির বাসিন্দারা উদ্বিগ্ন হয়েছে পড়েছে। বেড়েছে এলপিজি এবং জ্বালানি কাঠের চাহিদাও।
কাঠ ও কয়লার দাম দ্বিগুণ হওয়া সত্ত্বেও গ্রাহকদের জ্বালানি চাহিদা মেটাতে এলপিজি সরবরাহ করার পরিকল্পনাও অকার্যকর রয়েছে পাকিস্তানে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের প্রায় ৬২ শতাংশ গ্যাস উৎপাদন করে সিন্ধু। অথচ রাজ্যটি মাত্র ৩৮ শতাংশ গ্যাস পায়। অন্যদিকে পাঞ্জাবে গ্যাস উৎপাদন হয় মাত্র ৩ শতাংশ কিন্তু পাঞ্জাব পায় ৫২ শতাংশ গ্যাস।
খাইবার পাখতুনখোয়ায় গ্যাস উৎপাদন ১৫ শতাংশ এবং এর ব্যবহার মাত্র ৭ শতাংশ, বেলুচিস্তানে, গ্যাস উৎপাদন ১২ শতাংশ এবং ব্যবহার মাত্র ২ শতাংশ।
এদিকে কালাতে গরিবাবাদের সাধারণ মানুষও দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সমস্যায় ভুগছেন। সুই গ্যাস ফিল্ডের লোডশেডিং, ট্রিপিং, কম ভোল্টেজ এবং খুব অল্প সময়ের জন্য অনিয়মিত সরবরাহ নিয়মিত হয়ে উঠেছে সেখানে।
নভেম্বর মাসে জনগণ কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করলেও পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন হয়নি। হতাশ হয়ে এখন প্রতিবাদ করছেন তারা। সম্প্রতি স্থানীয়দের ব্যাপক প্রতিবাদে করাচি-কোয়েটার যান চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়।
গত মাসে গরিবাবাদে একটি ট্রান্সফরমার পুড়ে গিয়েছিল এবং তারপর থেকে তারা বিদ্যুতের সমস্যায় ভুগছে। এখনও ট্রান্সফরমারটি মেরামত বা প্রতিস্থাপন করা হয়নি। আপাতত এই সমস্যার কোনো সুরাহা দেখছেন না সেখানকার বাসিন্দারা।
একে