images

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশি পদ্মার ইলিশের ওপর নির্ভরতা কমাতে হবে: মমতা 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২৪ নভেম্বর ২০২২, ০৬:১০ পিএম

প্রতি বছর ইলিশের মওসুমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যকে বাংলাদেশিদের মুখ চেয়ে থাকতে হয়। বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে ইলিশের ট্রাক পশ্চিমবঙ্গে ঢোকামাত্র যেন বাঙালির রসনাতৃপ্তির ষোলোকলা পূর্ণ হয়। এবার বাংলাদেশের ওপর ইলিশ নির্ভরতা কমাতে বার্তা দিলেন এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ভারতীয় বাঙালিদেরকে ইলিশ খাওয়ানোর মতো নদী-সাগর ওই পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে কম নেই। কিন্তু পদ্মার ইলিশের যোগানের ধারেকাছে আসে না তা। স্বভাবতই ইলিশের মওসুমে বাংলাদেশের দিকেই তাকিয়ে থাকতে হয় পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদেরকে। এবার ইলিশ নিয়ে বাংলাদেশের ওপর নির্ভরতা কাটানোর দাওয়াই দিলেন এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার রাজ্যের বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী জানান, পশ্চিমবঙ্গেও ইলিশ উৎপাদন হচ্ছে। ডায়মন্ড হারবারে ইলিশ নিয়ে গবেষণা কেন্দ্র করা হয়েছে। সেখানে প্রতিনিয়ত ইলিশের গতিবিধি নিয়ে গবেষণা চলছে। মমতার দাবি, ‘‘আমাদের ওপারের (বাংলাদেশের) ইলিশের ওপর আর নির্ভর করতে হবে না।’’

ইলিশের বহুমূল্যের কারণে বাজারে ঢেলে বিক্রি হয় খোকা (শিশু) ইলিশ। দামেও কম, আবার স্বাদেও বড় আকারের ইলিশের ছিটেফোঁটা পাওয়া যায়। কিন্তু ব্যাপক খোকা ইলিশ ধরার ফলে ইলিশের বংশবৃদ্ধি ব্যাহত হচ্ছে বলে মনে করেন মৎস্যবিজ্ঞানীরা। ইতোমধ্যেই শিশু ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ করেছে ভারতীয় সরকার। কিন্তু বাজারের চিত্রে ওই কথার সমর্থন মেলে না। এমন পরিস্থিতিতে বিধানসভায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘কেবল আইন করে খোকা ইলিশ ধরা বন্ধ করা যাবে না। মানুষকে সচেতন করতে হবে।’’ বস্তুত, মাছ নিয়ে গবেষণা করেন, এমন বিশেষজ্ঞদের একটি অংশও তেমনই মনে করেন। মানুষকে যদি বোঝানো যায়, খোকা ইলিশ মারলে আদতে ইলিশের বংশবৃদ্ধিই ক্ষতির মুখে পড়ে, তাহলেই একমাত্র এই সমস্যার সমাধান হবে। আইন করে নয়।

মাছচাষ নিয়ে মমতা জানান, পশ্চিমবঙ্গের অনেক জলাশয় রয়েছে। সেখানে দিব্যি মাছচাষ করা যায়। এ জন্য স্বনির্ভর গোষ্ঠী বা পাড়ার ক্লাবগুলোকে দায়িত্ব দেওয়ার নির্দেশ দেন মৎস্যমন্ত্রী। তাতে কর্মসংস্থানের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের বাজারে মাছের জোগানও বাড়ানো সম্ভব হবে।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

এমইউ