আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১৫ নভেম্বর ২০২২, ১১:২৯ এএম
বিশ্বের জনসংখ্যা ৮০০ কোটির (৮ বিলিয়ন) মাইলফল ছুঁতে চলেছে। আজ মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) মানব উন্নয়নের এই মাইলফলক স্পর্শ করবে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
জাতিসংঘের সাম্প্রতিক অনুমানগুলোতে বলেছে যে, বিশ্ব জনসংখ্যা ২০৩০ সালে প্রায় ৮.৫ বিলিয়ন (৮৫০ কোটি), ২০৫০ সালে ৯.৭ বিলিয়ন (৯৭০ কোটি) এবং ২১০০ সালে ১০.৪ বিলিয়ন (এক হাজার কোটি ৪০ লাখ) হতে পারে।
সোমবার বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসে প্রকাশিত বার্ষিক বিশ্ব জনসংখ্যা সম্ভাবনা প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, বিশ্ব জনসংখ্যা ১৯৫০ সালের পর থেকে সবচেয়ে ধীর গতিতে বাড়ছে, যা ২০২০ সালে এক শতাংশের নিচে নেমে এসেছে।
বৈশ্বিক জনসংখ্যা ৭ থেকে ৮ বিলিয়ন হতে ১২ বছর লেগেছে। আগামীতে ৯ বিলিয়ন জনসংখ্যা হতে ২০৩৭ সাল অর্থ্যাৎ ১৫ বছর লাগবে। এটি একটি লক্ষণ যে বিশ্ব জনসংখ্যার সামগ্রিক বৃদ্ধির হার ধীর হয়ে যাচ্ছে।

২০২২ সালে দুই সবচেয়ে জনবহুল অঞ্চল এশিয়ায়। পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ২.৩ বিলিয়ন এবং মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ায় ২.১ বিলিয়ন জনসংখ্যা রয়েছে।
চীন এবং ভারত দুই দেশের প্রত্যেকের ১.৪ বিলিয়নের বেশি জনসংখ্যা রয়েছে। দুই দেশের কারণেই এই দুই অঞ্চলে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যা।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, ২০৫০ সাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি বৃদ্ধি হবে শুধু আটটি দেশে। সেগুলো হলো- কঙ্গো, মিশর, ইথিওপিয়া, ভারত, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, ফিলিপাইন এবং তানজানিয়া।
বিশ্বের বৃহত্তম দেশগুলোর মধ্যে অসম বৃদ্ধির হারগুলো আকার অনুসারে তাদের অবস্থানে পরিবর্তন আনবে।
জাতিসংঘের অনুমান অনুসারে, ২০২৩ সালের মধ্যে ভারত বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হিসেবে চীনকে ছাড়িয়ে যাবে।
জনসংখ্যা বৃদ্ধি অনেকটা মৃত্যুর হার হ্রাসের সঙ্গে যুক্ত। মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেলে জনসংখ্যা তুলনামূলক বেশি বাড়ে। ২০১৯ সালে বিশ্বে গড় আয়ু ছিল ৭২.৮ বছর। এটি ১৯৯০ সালের গড় আয়ু থেকে ৯ বছর বেশি। অপরদিকে হ্রাস পেয়েছে মৃত্যুহার।

যেসব দেশে উর্বরতার মাত্রা সবচেয়ে বেশি তাদের মাথাপিছু আয় সবচেয়ে কম। তাই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বব্যাপী জনসংখ্যা বৃদ্ধি বিশ্বের দরিদ্রতম দেশগুলোর মধ্যে ক্রমবর্ধমানভাবে কেন্দ্রীভূত হয়েছে। এর বেশিরভাগই সাব-সাহারান আফ্রিকায়।
যদিও জনসংখ্যা বৃদ্ধি অর্থনৈতিক উন্নয়নের পরিবেশগত প্রভাবকে বড় করে তোলে। তবুও মাথাপিছু আয় ক্রমবর্ধমান উৎপাদন ও ভোগের টেকসই নিদর্শনগুলোর প্রধান চালক।
বহু দশক ধরে ধীর জনসংখ্যা বৃদ্ধি বর্তমান শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে পরিবেশগত ক্ষতির আরও সঞ্চয়কে প্রশমিত করতে সাহায্য করতে পারে।
একে