আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১৮ অক্টোবর ২০২২, ০৬:৩৯ এএম
কিয়েভে ইরানের ‘কামিকাজে’ বা ‘শাহেদ-১৩৬’ ড্রোন দিয়ে রাশিয়া হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। রাজধানী শহরের মধ্য শেভচেনকিভস্কে জেলায় একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে হতাহত হয়েছেন অনেকে। বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে অনেক এলাকা।
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে রাশিয়াকে ইরান কয়েকশ ড্রোন দিয়েছে বলে দাবি করে পশ্চিমারা। যদিও ইরান সরাসরি এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে। সম্প্রতি রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহের বিষয়টি নিয়ে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে ইরান।
রাশিয়ার হামলায় ব্যবহৃত ড্রোনগুলোতে ইরানের তৈরি শাহেদ রয়েছে বলে মনে হচ্ছে, যাকে বলা হচ্ছে ‘কামিকাজে ড্রোন’। ‘কামিকাজে’ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানিদের দ্বারা গৃহীত আক্রমণের কৌশল থেকে উদ্ভূত।
এই ড্রোনগুলো তুলনামূলকভাবে সস্তা এবং ঝাঁকে ঝাঁকে ব্যবহার করা যেতে পারে। জাপানি কৌশল দ্বারা অনুপ্রাণিত, আধুনিক কামিকাজে ড্রোন আত্মঘাতী বোমা হামলার মিশনেও রয়েছে। তারা তাদের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করার সাথে সাথেই ধ্বংস হয়ে যায়। ইরানের তৈরি শাহেদ, রাশিয়ার দ্বারা জেরান-২ ড্রোন হিসাবে পুনরায় নামকরণ করা হয়েছে। এসব ড্রোন ক্রুজ মিসাইলের চেয়ে অনেক বেশি সময় ঘুরে বেড়াতে পারে।
শাহেদ ড্রোনগুলো সম্ভবত ইলেকট্রনিক জ্যামিং এবং ঐতিহ্যবাহী বিমান বিধ্বংসী কামানগুলোর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সীমিত হওয়ার কারণে এই ড্রোন বেশি সুবিধা পাচ্ছে।
ইরানের দাবি, শাহেদ ড্রোন এক উড়ানে দুই হাজার কিলোমিটার বা ১২৪৩ মাইল পর্যন্ত উড়তে পারে। এছাড়া লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার আগে ঘণ্টায় দেড়শ কিলোমিটার গতিতে নিরবিচ্ছিন্নভাবে চলতে পারে। ফাইবারের তৈরি এই ড্রোন তুরস্কের বায়রাক্তার ড্রোনের চেয়ে ২০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে চলতে পারে।
ড্রোনটি প্রায় ৩৬ কেজি ওজনের ওয়ারহেড বহন করে। শাহেদ-১৩৬ ড্রোন তুর্কি বায়রাক্তার টিবি২ ড্রোনের চেয়ে বেশি ব্যবহারিক।
রাশিয়ার ড্রোন হামলার বিরুদ্ধে সুরক্ষার জন্য ইউক্রেন ইসরায়েলের দিকে যেতে পারে। ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরে ইরানের ড্রোন হামলার বিরুদ্ধে সফলতার দাবি করে আসছে। তবে রাশিয়া বলেছে যে, ইসরায়েল ইউক্রেনকে ড্রোন দিলে তা চুক্তির খেলাপ হবে।
সূত্র: বিবিসি, ডেইলি মেইল ও উইকিপিডিয়া
একে