আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২২ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১০:১৮ এএম
অস্ট্রেলিয়ার দ্বীপ তাসমেনিয়ার উপকূলে আটকে পড়া ২৩০টি পাইলট তিমির মধ্যে প্রায় ২০০টির মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন উদ্ধারকর্মীরা। তাসমেনিয়ার রুক্ষ পশ্চিম উপকূলের একটি উন্মুক্ত সার্ফ-সুইপ্ট সৈকতে এসব তিমি আটকে পড়ে।
রাষ্ট্রীয় বন্যপ্রাণী পরিষেবা অধিদফতার জানিয়েছে, আনুমানিক ২৩০ পাইলট তিমির মধ্যে মাত্র ৩৫টি এখনও জীবিত রয়েছে। যেগুলো বেঁচে রয়েছে সেগুলোকেও উদ্ধার করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সৈকতজুড়ে কয়েক ডজন তিমি পড়ে রয়েছে। কয়েকটি তিমি নিঃশ্বাস নেয়ার চেষ্টা করছে। স্থানীয়রা জীবিত তিমিদের কয়েকটিকে ভেজা কম্বল জড়িয়ে দিয়েছেন। কেউ বালতি করে পানি দিয়ে তাদের বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন।
রাজ্যের বন্যপ্রাণী অপারেশন ম্যানেজার ব্রেন্ডন ক্লার্ক বলেন, 'আমরা সৈকতে প্রায় ৩৫টি জীবিত প্রাণী পেয়েছি এবং আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে প্রাথমিক ফোকাস হবে এই প্রাণীদের উদ্ধার এবং মুক্তির উপর।'
তিনি বলেন, 'দুর্ভাগ্যবশত আমাদের এই বিশেষ স্ট্র্যান্ডিংয়ে উচ্চ মৃত্যুর হার রয়েছে। পরিবেশগত অবস্থা, উন্মুক্ত পশ্চিম উপকূলে সার্ফ, ওশান বিচ, অবশ্যই প্রাণীদের ক্ষতি করছে।'
সাহায্যকারীরা সাধারণত পানিতে ঢোকে এবং স্তন্যপায়ী প্রাণীদের গভীর জলে ভাসানোর জন্য জোতা ব্যবহার করে। কর্মকর্তারা বলেছেন যে, জলজ চাষ ফার্মের যান্ত্রিক সহায়তা ব্যবহার করে একটি নতুন কৌশলও পরীক্ষা করা হবে।
— AFP News Agency (@AFP) September 22, 2022
সেখান থেকে একটি জাহাজ তাদের আরও গভীর পরিষ্কার পানিতে নিয়ে যাবে, যাতে নতুন করে তারা আবার আটকে না যায়।
গ্রিফিথ ইউনিভার্সিটির সামুদ্রিক বিজ্ঞানী ওলাফ মেনেকে বলেন, সমুদ্রের উষ্ণ তাপমাত্রা তাদের গতিপথ বদলে দিচ্ছে। তারা খাবারের অভাববোধ করছে। এজন্য তারা বিভিন্ন এলাকায় ছুটছে এবং খাদ্য উৎসের অনুসন্ধান করছে। যখন তারা এটি করে তখন তারা দুর্বল থাকে এবং আরও ঝুঁকি নিয়ে তীরের কাছাকাছি চলে যেতে পারে।'
অস্ট্রেলিয়ার পরিবেশ ও পানি বিষয়ক মন্ত্রী তানিয়া প্লিবারসেক একটি টুইট বার্তায় বলেছেন যে, ব্যাপকভাবে তিমির আটকা পড়ার খবর দুঃখজনক।
দুই বছর আগে তাসমেনিয়ার পশ্চিম উপকূলে প্রায় ৪৭০টি দীর্ঘ পাখনাযুক্ত পাইলট তিমি আটকে পড়েছিল। এক সপ্তাহব্যাপী প্রচেষ্টার পর ১১১টি তিমিকে উদ্ধার করা গেলেও বাকিরা মারা যায়।
সূত্র: এএফপি
একে