images

আন্তর্জাতিক

ইয়েমেনের বন্দরে আমিরাতের পাঠানো অস্ত্রের চালানে বিমান হামলা সৌদির

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:০০ পিএম

ইয়েমেনের হাদরামাউতের গভর্নরেটে মুকাল্লা বন্দরে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে পাঠানো অস্ত্র এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম বোঝাই দুটি জাহাজ লক্ষ্য করে ‘সীমিত’ বিমান হামলা চালিয়েছে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন জোট।

রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) জানিয়েছে, সৌদি-ইয়েমেন প্রেসিডেন্সিয়াল কাউন্সিলের জোট বাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল তুর্কি আল-মালিকি বলেছেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফুজাইরা বন্দর থেকে আগত দুটি জাহাজ ২৭-২৮ ডিসেম্বর জোটের যৌথ বাহিনী কমান্ডের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক অনুমোদন ছাড়াই মুকাল্লা বন্দরে প্রবেশ করে।

মুখপাত্র বলেন, ‘দুটি জাহাজের ক্রুরা জাহাজগুলোর ট্র্যাকিং সিস্টেম বন্ধ করে ইয়েমেনের পূর্বাঞ্চলীয় হাদরামাউত এবং মাহরা প্রদেশে দক্ষিণ ট্রানজিশনাল কাউন্সিলের (এসটিসি) বাহিনীকে সমর্থন করার জন্য প্রচুর পরিমাণে অস্ত্র এবং যুদ্ধযান নিয়ে আসে, যা সংঘাতকে আরও তীব্র করতে পারে। এটি যুদ্ধবিরতি এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানে পৌঁছানোর প্রচেষ্টার স্পষ্ট লঙ্ঘন, পাশাপাশি ২০১৫ সালে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব (২২১৬)-এরও লঙ্ঘন।’

আল-মালিকি বলেন, ‘নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ এই অস্ত্রগুলোর দ্বারা সৃষ্ট বিপদ এবং তীব্রতা বিবেচনা করে, জোট বিমান বাহিনী আজ সকালে আল-মুকাল্লা বন্দরে দুটি জাহাজ থেকে আনলোড করা অস্ত্র এবং যুদ্ধ যানগুলোকে লক্ষ্য করে সীমিত সামরিক অভিযান পরিচালনা করে’।

এসপিএ আরও জানিয়েছে, বেসামরিক নাগরিক এবং জেলেদের অবিলম্বে মুকাল্লা বন্দর ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে জোট, যা ইঙ্গিত দেয় শিগগিরই একটি বড় সামরিক অভিযান জলানো হতে পারে। 

এর আগে গত ৯ ডিসেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাত সমর্থিত দক্ষিণ বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীটির চেয়ারপারসন আইদারুস ইয়েমেনের আল-জুবাইদি হাদরামাউত এবং আল মাহরাহ গভর্নরেটের ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ঘোষণা করেন। এরপর থেকে ইয়েমেনে উত্তেজনা আরও বেড়েছে।

সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই বিচ্ছিন্নতাবাদীদের কর্মকাণ্ডকে ‘অযৌক্তিক উত্তেজনা বৃদ্ধি’ বলে নিন্দা করে এবং এসটিসিকে দুটি অঞ্চল থেকে তাদের বাহিনী প্রত্যাহারের আহ্বান জানায়।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে ইয়েমেনের ক্ষমতায় থাকা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারের প্রধান সমর্থক দেশ সৌদি আরব। ইয়েমেনের ক্ষমতাসীন সরকার বিভিন্ন গোষ্ঠীর সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত; যার মধ্যে বিচ্ছিন্নতাবাদীরাও রয়েছেন। ওই বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সমর্থন করে সংযুক্ত আরব আমিরাত। 

সূত্র: আরব নিউজ


এমএইচআর