আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:০৫ পিএম
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহিদ শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কয়েকজনকে ভারতে গ্রেফতারের বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া গুঞ্জনকে অস্বীকার করেছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ বলেছে, ‘আমরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু পোস্ট লক্ষ্য করেছি যেখানে দাবি করা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের এসটিএফ (স্পেশাল টাস্ক ফোর্স) সাম্প্রতিক একটি ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রতিবেশী দেশের কয়েকজন নাগরিককে আটক করেছে।’
পোস্টে বলা হয়েছে, ‘এই খবর সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। দয়া করে গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকুন।’
We have noticed some posts on social media claiming that the West Bengal Police STF (Special Task Force) has detained several citizens of a neighboring country in connection with a recent incident there.
— West Bengal Police (@WBPolice) December 29, 2025
This news is completely baseless. Please refrain from spreading rumors.
এর আগে, বাংলাদেশে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি পোস্টে বলা হয়, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ফয়সাল করিম মাসুদ ও তার সহযোগী আলমগীর শেখকে সহায়তার অভিযোগে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) ২৮ ডিসেম্বর ৫ বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করেছে।
তবে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এই দাবি প্রত্যাখ্যান করলো।
এদিকে গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার এসএন নজরুল ইসলাম বলেন, ওসমান হাদি হত্যায় জড়িত প্রধান সন্দেভাজন মূল আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ ও তার সহযোগী আলমগীর শেখ হালুয়াঘাট সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছে। সীমান্ত অতিক্রম করার সময়, প্রথমে তাদের পুত্তি নামে একজন ব্যক্তি গ্রহণ করে। পরে, সামি নামে একজন ট্যাক্সি চালক তাদের মেঘালয়ের তুরা শহরে নিয়ে যায়।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার আরও বলেন, বাংলাদেশ সরকার শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকারীদের ফিরিয়ে আনার জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। আমরা আনুষ্ঠানিক এবং অনানুষ্ঠানিক উভয় মাধ্যমেই ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখছি। যাতে তাদের গ্রেফতার করে সহজে দেশে ফিরিয়ে আনা যায়।
তবে মেঘালয় পুলিশ ও বিএসএফের জ্যেষ্ঠ দুই কর্মকর্তা বাংলাদেশ পুলিশের দাবিকে বিভ্রান্তিকর বলে দাবি করেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ ও আলমগীর শেখ ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পালিয়ে বর্তমানে মেঘালয়ে অবস্থান করছেন বলে বাংলাদেশ পুলিশ যে দাবি করেছে; মেঘালয় পুলিশের সদর দফতরের এক শীর্ষ কর্মকর্তা সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন।
তিনি হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেছেন, বাংলাদেশ পুলিশের সঙ্গে মেঘালয় পুলিশের আনুষ্ঠানিক কিংবা অনানুষ্ঠানিক কোনও যোগাযোগ হয়নি। দুই অভিযুক্তের কাউকে গারো পাহাড় এলাকায় শনাক্ত কিংবা গ্রেফতার করা হয়নি।
এমএইচআর