images

আন্তর্জাতিক

বড়দিনে পুতিনের মৃত্যু কামনা করলেন জেলেনস্কি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:১৬ পিএম

খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব ক্রিসমাস (বড়দিন) উপলক্ষে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মৃত্যু কামনা করেছেন ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির জেলেনস্কি। 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা একটি ভিডিও বার্তায় পুতিনের নাম না নিয়েই জেলেনস্কি বলেন, ‘আজ আমরা সবাই একটা স্বপ্ন ভাগ করে নিচ্ছি এবং আমাদের সবার জন্য একটাই ইচ্ছা: সে (পুতিন) ধ্বংস হোক।’

তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু যখন আমরা ঈশ্বরের দিকে ফিরে যাই, তখন অবশ্যই আমরা আরও বৃহত্তর কিছু চাই। আমরা ইউক্রেনের জন্য শান্তি চাই। আমরা এর জন্য লড়াই করি, আমরা এর জন্য প্রার্থনা করি, আমরা এটির যোগ্য।’

জেলেনস্কি বলেন ‘রাশিয়া আমাদের ভয়াবহ দুর্ভোগে ফেলেছে, তা সত্ত্বেও তারা আমাদের সবচেয়ে মূল্যবান জিনিস দখল ও সেখানে বোমা হামলা করতে পারেনি। এটি আমাদের ইউক্রেনীয় হৃদয়, একে অপরের প্রতি আমাদের বিশ্বাস এবং আমাদের ঐক্য।’

বুধবার ইউক্রেনজুড়ে রাশিয়ার ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার মধ্যেই বড়দিনের এই শুভেচ্ছা বার্তা দেন জেলেনস্কি। রাশিয়ার এই হামলার ফলে কমপক্ষে তিনজন নিহত এবং রাজধানী কিয়েভসহ বিভিন্ন এলাকায় ভয়াবহ বিদ্যুৎ বিভ্রাট শুরু হয়।

ভাষণে জেলেনস্কি বলেন, ‘বড়দিনের আগ মুহূর্তে, রাশিয়ানরা আবারও দেখিয়ে দিল যে তারা আসলে কে। ব্যাপক গোলাবর্ষণ, শত শত শাহেদ ড্রোন, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, কিনঝাল স্ট্রাইক - সবকিছুই ব্যবহার করা হয়েছিল। এভাবেই ধর্মহীনরা হামলা চালায়।’

এরআগে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ব্রিফিংয়ে ২০-দফা পরিকল্পনার বিস্তারিত তথ্য জানান ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, যুদ্ধের অবসানের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে কিয়েভ দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় শিল্পাঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে। তবে এটি কেবল তখনই সম্ভব হতে পারে যদি মস্কোও পিছু হটে এবং পরবর্তীতে এই অঞ্চলটি আন্তর্জাতিক বাহিনীর তত্ত্বাবধানে একটি সামরিক নিরস্ত্রীকরণ অঞ্চলে পরিণত হয়।

এই প্রস্তাবটি ডনবাস অঞ্চলের ব্যাপারে ইউক্রেনীয় নেতা যে আপস করতে ইচ্ছুক তার স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয়, যার নিয়ন্ত্রণ শান্তি আলোচনার ক্ষেত্রে একটি প্রধান বাধা।

জেলেনস্কি বলেন, জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আশেপাশের এলাকার জন্যও একই রকম ব্যবস্থা সম্ভব হতে পারে, যা বর্তমানে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। 

এদিকে রাশিয়া এখনও তাদের দখল করা ভূমি থেকে সেনা প্রত্যাহারের কোনো ইঙ্গিত দেয়নি। 

এরআগে গত মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রায় চার বছর ধরে চলা এই যুদ্ধের অবসানের পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন, যেখানে তিনি ইউক্রেনকে তাদের কিছু ভূখণ্ড- বিশেষ করে বর্তমানে রাশিয়া দখলে থাকা অঞ্চলগুলো ছেড়ে দিতে হবে বলে জোর দিয়েছেন। এর পর থেকে আমেরিকান আলোচকরা ইউক্রেন এবং রাশিয়ার সঙ্হে আলাদাভাবে একাধিক আলোচনায় অংশ নিয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো অগ্রগতি হয়নি। 

সূত্র: এনডিটিভি

এমএইচআর