আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:১৮ পিএম
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) একজন সাবেক কমিশনার সহ পাঁচজনের ভিসা প্রত্যাখ্যান করার কথা জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর। তাদের দাবি, মার্কিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গি, মতামতকে দমন করতে ‘বাধ্য’ করার চেষ্টা করেছিল এই ব্যাক্তিরা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘এই উগ্রপন্থী কর্মী এবং আক্রমণাত্মক এনজিওগুলোর বিরুদ্ধে অনেক বিদেশি রাষ্ট্র কঠোর বিধিনিষেধের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে - প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমেরিকান বক্তা এবং আমেরিকান কোম্পানিগুলোকেই তারা লক্ষ্য করে’।
এই পদক্ষেপটি ইউরোপীয় কমিশনের সাবেক শীর্ষ প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রক থিয়েরি ব্রেটনরে বিরুদ্ধে নেওয়া হয়েছে। ব্রেটনকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ডিজিটাল সার্ভিসেস অ্যাক্ট (ডিএসএ)-এর ‘মাস্টারমাইন্ড’ হিসেবে বর্ণনা করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর।
যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপের পর থিয়েরি ব্রেটন অবশ্য এটিকে একটি ‘চিরুনি অভিযান’ চলছে বলে উল্লেখ করেছেন। এক এক্স বার্তায় তিনি বলছেন, ‘আমাদের আমেরিকান বন্ধুদের উদ্দেশ্যে: সেন্সরশিপ আপনার ভাবনার জায়গায় নেই।’
মূলত, ইইউ’র ডিজিটাল সার্ভিসেস অ্যাক্ট (ডিএসএ) সাম্প্রতিক সময়ে তীব্র বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্র এটিকে ইউরোপ ও এর বাইরে ডানপন্থী মতাদর্শের বিরুদ্ধে কঠোর সেন্সরশিপের একটি হাতিয়ার হিসেবে দেখছে। ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত কিছু মার্কিন রক্ষণশীলদের ক্ষুব্ধ করেছে, যারা এটিকে ডানপন্থী মতামতকে দমন করার চেষ্টা হিসেবে দেখছেন।
ইইউর নিয়ম মেনে চলার বাধ্যবাধকতা নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এর মালিক ইলন মাস্কের সঙ্গেও ব্রেটনের বিরোধ রয়েছে।
ইউরোপীয় কমিশন সম্প্রতি তাদের ব্লু টিক ব্যাজের জন্য সামাজিক মাধ্যম এক্স- কে ১২০ মিলিয়ন ইউরো জরিমানা করেছে – যা ডিএসএ এর অধীনে করা প্রথম জরিমানা। এই প্ল্যাটফর্মের ব্লু টিক পদ্ধতিকে "প্রতারণামূলক" বলে উল্লেখ করেছে। কারণ সংস্থাটি ‘ব্যবহারকারীদের অর্থপূর্ণভাবে যাচাই’ করছিল না। এই সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায়, মাস্কের সাইট কমিশনকে তার প্ল্যাটফর্মে বিজ্ঞাপন দেওয়া থেকে বিরত রাখে।
এদিতে যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক গ্লোবাল ডিসইনফরমেশন ইনডেক্স বা জিডিআই এর নেতৃত্বদানকারী ক্লেয়ার মেলফোর্ডও এই তালিকাভুক্ত ছিলেন। এছাড়াও নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছেন জার্মান সংস্থা হেটএইডের আনা-লেনা ভন হোডেনবার্গ এবং জোসেফাইন ব্যালন, যারা ডিএসএ কার্যকর করতে সাহায্য করেছে বলে দাবি মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের।
সূত্র: বিবিসি
এমএইচআর