আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৫৫ এএম
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত তিন ধাপের যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। আগামী রোববার থেকে কার্যকর হতে যাওয়া এই চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন জার্মানি, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের রাষ্ট্রপ্রধানরা। বিশ্বনেতারা আশা করছেন, এই উদ্যোগ গাজায় দীর্ঘস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার পথ প্রশস্ত করবে।
হামাস নেতা বাসাম নাইমের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, এই চুক্তিটি তিনটি ধাপে বাস্তবায়িত হবে। প্রতিটি ধাপের মেয়াদ হবে ৪২ দিন।
প্রথম ধাপ: আগামী রোববার থেকে ৩৩ জন জিম্মিকে পর্যায়ক্রমে মুক্তি দেওয়া শুরু হবে। প্রথম দিন মুক্তি পাবেন ৩ জন নারী জিম্মি। বিনিময়ে ইসরায়েলি কারাগার থেকেও নির্দিষ্ট সংখ্যক ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে।
দ্বিতীয় ধাপ: এই পর্যায়ে স্থায়ীভাবে সামরিক অভিযান বন্ধ হবে এবং ইসরায়েলি বাহিনী গাজা থেকে সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হবে। বিনিময়ে হামাস সকল জীবিত পুরুষ ও সেনাদের মুক্তি দেবে।
তৃতীয় ধাপ: এই ধাপে মূলত দুপক্ষের নিহতদের মৃতদেহ বা অবশিষ্টাংশ বিনিময় করা হবে। পাশাপাশি শুরু হবে গাজা পুনর্গঠনের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা।
জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজ এই চুক্তিকে ‘শান্তির দুয়ার’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। অন্যদিকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার একে ‘দীর্ঘ প্রতীক্ষিত সুসংবাদ’ উল্লেখ করে গাজায় দ্রুত মানবিক সহায়তা পাঠানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি একটি দুই-রাষ্ট্র সমাধানের মাধ্যমে স্থায়ী শান্তির কথা পুনরায় স্মরণ করিয়ে দেন।
গত আগস্টে নিহত হওয়া ইসরায়েলি-আমেরিকান জিম্মি হার্শ গোল্ডবার্গের পরিবারও এই চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে। তারা আশা করছেন, এবার অন্তত অন্য পরিবারগুলো তাদের প্রিয়জনকে জীবিত ফিরে পাবে এবং নিহতদের যথাযথভাবে সমাহিত করা সম্ভব হবে। তবে চুক্তিটি যেন মাঝপথে থমকে না যায়, সে বিষয়ে কাতার, মিশর ও মার্কিন প্রশাসনের সজাগ দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তারা।
বর্তমানে হামাসের কাছে আরও অন্তত ৯৪ জন জিম্মি বন্দি রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবি।—সূত্র: সিএনএন
/একেবি/