আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:২৭ এএম
কর্মসূত্রে আমেরিকায় প্রবাসী যে সব ভারতীয় নাগরিক চলতি মাসে নিজ দেশে ফিরেছেন, তাদের আমেরিকায় ফেরা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
পাশাপাশি আমেরিকায় কাজের অনুমতি (ওয়ার্ক পারমিট) চেয়ে ভারতীয়দের অ্যাপয়েন্টমেন্টও আচমকা বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে।
নতুন অ্যাপয়েন্টমেন্টের তারিখ দেওয়া হয়েছে বেশ কয়েক মাস পরে। তা-ও শেষ মুহূর্তে বাতিল হবে কি না, নিশ্চয়তা নেই। ফলে ভারতে এসে আটকে পড়েছেন দেশটির বহু প্রবাসী।
কীভাবে কর্মক্ষেত্রে ফিরবেন, তা বুঝে উঠতে পারছেন না ভারতীয়রা। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের একটি প্রতিবেদনে তিনজন বিশেষজ্ঞ আইনজীবীকে উল্লেখ করে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
গত ১৫ ডিসেম্বর থেকে ২৬ ডিসেম্বরের মধ্যে যাদের অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছিল, তেমন হাজার হাজার ভারতীয়ের অ্যাপয়েন্টমেন্ট বাতিল হয়ে গিয়েছে।
এইচ-১বি ভিসার গ্রাহকেরা অধিকাংশই আমেরিকান ওয়ার্ক পারমিট নবায়নের জন্য এই সময়টিকে বেছে নেন। কারণ, আমেরিকায় এটা ছুটির মৌসুম। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর ভিসা গ্রাহকদের ইমেলে জানিয়েছে, ওয়ার্ক পারমিটের জন্য সাক্ষাৎকার আয়োজন করতে দেরি হচ্ছে।
বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সমাজমাধ্যম সংক্রান্ত একটি নতুন নিয়ম চালু করেছেন। কোনও আবেদনকারী যাতে আমেরিকানদের নিরাপত্তার পক্ষে বিপজ্জনক হয়ে উঠতে না পারেন, তা নিশ্চিত করতে এই নিয়ম। সেই কারণে গোটা প্রক্রিয়ায় বিলম্ব হচ্ছে।
এইচ-১বি একটি অ-অভিবাসী ভিসা। এর মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের দক্ষ কর্মীরা সর্বোচ্চ ছয় বছর পর্যন্ত আমেরিকায় থেকে সেখানকার সংস্থার হয়ে কাজ করতে পারেন।
উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন, অতি দক্ষ কর্মীদেরই এই সুযোগ দেওয়া হয়। কিছু দিন আগে এইচ-১বি ভিসার জন্য মার্কিন সংস্থাগুলির উপর এক লক্ষ ডলারের (১ কোটি ২৪ লাখ টাকা) বোঝা চাপিয়েছিলেন ট্রাম্প। বলেছেন, দক্ষ বিদেশি কর্মীদের নিয়োগ করতে গেলে এবার থেকে সংস্থাগুলিকে এই পরিমাণ অর্থ সরকারের হাতে তুলে দিতে হবে।
কীভাবে কাদের মার্কিন সংস্থাগুলিতে নিয়োগ করা হচ্ছে, কীভাবে কর্মীকে বেছে নেওয়া হচ্ছে, সেই প্রক্রিয়াতেও ট্রাম্প প্রশাসন নাক গলাচ্ছে। ট্রাম্প ঘনিষ্ঠদের দাবি, এই ভিসার মাধ্যমে আমেরিকানদের মধ্যে বেকারত্ব বাড়ছে।
আমেরিকায় থেকে সেখানকার নাগরিকেরাই চাকরি পাচ্ছেন না। বাইরের লোকজনকে চাকরি দেওয়া হচ্ছে। এভাবে মার্কিন নাগরিকেরা বঞ্চিত হচ্ছেন।
তবে ট্রাম্পের এই অবস্থানের বিরোধিতা করেছে অনেক মার্কিন সংস্থা। তাদের বক্তব্য, বিদেশি কর্মীদের দক্ষতাকে অবহেলা করলে আমেরিকার অর্থনীতিই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
-এমএমএস