আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৫৫ পিএম
ইউরোপের দক্ষিণতম দেশ গ্রিসের গাভদোস দ্বীপের কাছে একটি মাছধরার নৌকা থেকে বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের ৫৪৫ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে গ্রিসের কোস্টগার্ড। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দেশটিতে পৌঁছানো অভিবাসীদের মধ্যে এটি অন্যতম বড় একটি দল বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) গ্রিক কোস্টগার্ডের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এদিন গাভদোস দ্বীপ থেকে প্রায় ১৬ নটিক্যাল মাইল বা ২৯ দশমিক ৬ কিলোমিটার দূরে তল্লাশি অভিযানের সময় অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নৌকাটি শনাক্ত করা হয়। উদ্ধার হওয়া সবাই সুস্থ রয়েছেন। তাদের কাছের দ্বীপ ক্রিটের আগিয়া গালিনি বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সীমান্ত সংস্থা ফ্রন্টেক্সের টহল জাহাজ প্রথমে নৌকাটি দেখতে পায়। এরপর কোস্ট গার্ডের তিনটি জাহাজ, ফ্রন্টেক্সের তিনটি জাহাজ ও তিনটি বাণিজ্যিক জাহাজের সমন্বয়ে উদ্ধার অভিযান পরিচালিত হয়।
গ্রিক কোস্ট গার্ডের একজন মুখপাত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, উদ্ধারকৃতদের মধ্যে বাংলাদেশ, মিশর ও পাকিস্তানের ইরিত্রিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ফিলিস্তিনিসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিক রয়েছেন। তাদের আপাতত ক্রিট দ্বীপের রেথিমনো শহরের একটি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। সেখানে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে তাদের রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।

প্রসঙ্গত, ইউরোপগামী অভিবাসীদের জন্য অন্যতম প্রধান ট্রানজিট পথ হয়ে উঠেছে গ্রিস। আফ্রিকার উপকূলের সবচেয়ে কাছের ভূমধ্যসাগরীয় দ্বীপ ক্রিট ও গাভদোসে গত এক বছরে আবারও অভিবাসীবাহী নৌকার সংখ্যা দ্রুত বেড়েছে। বিশেষ করে লিবিয়া থেকে আসা নৌকাগুলো এই পথে যাত্রা করছে। এই রুটে প্রাণঘাতী দুর্ঘটনাও এখনো নিয়মিত।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর-এর তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে পৌঁছেছেন এক লাখ ৩৬ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী। তাদের মধ্যে ইতালিতে পৌঁছেছেন অন্তত ৬৪ হাজার এবং গ্রিসে পৌঁছেছেন ৪৪ হাজার।
গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিতসোটাকিস জানিয়েছেন, ২০২৬ সালের মাঝামাঝি থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন অভিবাসন চুক্তি কার্যকর হবে। এর আওতায় যাদের আশ্রয়ের আবেদন বাতিল হবে, তাঁদের দ্রুত নিজ দেশে ফেরত পাঠানোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
সূত্র: রয়টার্স, ইনফোমাইগ্রেন্টস
এমএইচআর