আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৫২ পিএম
পশ্চিমবঙ্গের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজ্যের নদীয়া জেলায় বিশাল জনসভার আয়োজন করেছিল বিজেপি। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে ঘন কুয়াশার কারণে সমাবেশস্থলে নামতেই পারেনি মোদির হেলিকপ্টার। বাধ্য ফের কলকাতায় ফিরে যান তিনি। তার পরে সড়কপথে পৌঁছনোর কথা ছিল প্রধানমন্ত্রীর। সেই বিষয়ে প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সশরীরে তাহেরপুর গেলেন না মোদি। তবে দমদম বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ থেকে ভার্চুয়ালি সভায় ভাষণ দেন তিনি।
শনিবার নদীয়ার তাহেরপুরে এই বিজেপির জনসভায় ১৬ মিনিটের ভাষণে উন্নয়ন থেকে প্রকল্প, অনুপ্রবেশ, দুর্নীতি, বিহার ভোটের ফল, ডাবল ইঞ্জিন সরকার, এসআইআর থেকে ত্রিপুরার সঙ্গে তুলনা করেছেন নরেন্দ্র মোদি। একই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিতে জেতানোর ডাকও দিলেন।
এ দিন বক্তব্যে কার্যত ২০২৬-এর ভোটের বাদ্য বাজিয়ে দিয়েছেন মোদি। তিনি বলেছেন, ‘বাংলায় একবার বিজেপি সরকার এনেই দেখুন, কত দ্রুত উন্নতি হয়...।’
কয়েকদিন আগে বিহারের বিধানসভা ভোটে ব্যাপক জয় পেয়েছে বিজেপি-জোট। সেই প্রসঙ্গ টেনে মোদি বলেন, সেখানে যেমন ‘জঙ্গলরাজ’ উপড়ে ফেলা হয়েছে, বাংলাতেও বিজেপি শান্তি ও উন্নয়ন ফেরাবে। এখন বাংলার কোণায় কোণায় শোনা যাচ্ছে বাঁচতে চাই, বিজেপি চাই।’
পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বলেন, ‘তৃণমূল মোদির বিরোধ করতে চাইলে করুক, কিন্তু রাজ্যের উন্নয়ন কেন আটকানো হচ্ছে? পশ্চিমবঙ্গের উন্নতির জন্য টাকা, ইচ্ছে বা প্রকল্প কোনোটিরই কমতি নেই। তাহলে কাজ হচ্ছে না কেন?
তৃণমূলের নেতাদের কমিশন ও কাটমানির জন্য অনেক প্রকল্প আটকে রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন মোদি।
পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রবেশের অভিযোগ তুলে বরাবর সরব হয়েছে বিজেপি, সেই একই সুর শোনা গেল মোদি গলায়। তিনি বলেন, ‘অনুপ্রবেশকারীরা বাংলা কব্জা করবে বলে স্থির করেছে, আর তৃণমূল তাদেরই পছন্দ করছে। অনুপ্রবেশকারীদের সুবিধার জন্য তৃণমূল এসআইআর-এর বিরোধিতা করছে।’
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর সভাস্থলে পৌঁছতে দেরি হওয়ায় সেখানে চরম বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়৷ একদল অতি উৎসাহী বিজেপি সমর্থক ব্যারিকেড ভেঙে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেন৷ পুলিশ তাদের বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করলে, তাঁরা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন ৷ এমনকি সভাস্থলে চেয়ার ছোড়াছুড়ি করা হয়৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে মঞ্চ থেকে বারবার শান্ত হয়ে বসার অনুরোধ করেন রাজ্য বিজেপির নেতারা৷
সূত্র: নিউজ১৮
এমএইচআর