images

আন্তর্জাতিক

সু চি মারা যাননি, জানালো জান্তা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:৪৭ পিএম

মা কবে মারা গেলেন, সেই বিষয়ে হয়তো জানতেও পারবো না বলে মিয়ানমারের কারাবন্দী গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চির ছেলে উদ্বেগ প্রকাশের পরদিন দেশটির জান্তা সরকার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। 

মঙ্গলবার জান্তার এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আটক সাবেক নেত্রী অং সান সু চি ‍সুস্থ আছেন। খবর রয়টার্সের।

এর আগে, সোমবার ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সুচির ছেলে কিম আরিস বলেছিলেন, ৮০ বছর বয়সী মায়ের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে তিনি খুব কম তথ্য পাচ্ছেন এবং আশঙ্কা করছেন—তিনি হয়তো জানতেই পারবেন না, মা কবে মারা গেলেন।

রয়টার্সকে তিনি বলেছেন, মায়ের সঙ্গে তিনি বছরের পর বছর ধরে যোগাযোগ করতে পারছেন না। ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানে সু চি নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে তার হৃদ্‌যন্ত্র, হাড় ও মাড়ির সমস্যার বিষয়ে কেবল বিচ্ছিন্ন এবং পরোক্ষ কিছু তথ্যই তিনি পেয়েছেন। মিয়ানমারের এই নেত্রী রাজধানী নেইপিদোতে আটকে রাখা হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।

সাক্ষাৎকারে কিম আরিস বলেন, তার মায়ের বিভিন্ন ধরনের অসুস্থতা রয়েছে। দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে তাকে কেউ দেখেনি। 

তার আইনজীবীদের সঙ্গেও যোগাযোগের অনুমতি দেওয়া হয়নি। পরিবার তো দূর। আমার জানা মতে, তিনি ইতোমধ্যে মারা গেছেন—এমনও হতে পারে।

২০২১ সালের অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারে অস্থিতিশীলতা চলছে। সামরিক ওই অভ্যুত্থান মিয়ানমারে সশস্ত্র বিদ্রোহের সূচনা করেছে; যা দেশটির বিস্তীর্ণ অঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়েছে।

নির্বাচনে অনিয়ম, দুর্নীতি ও জালিয়াতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে সু চিকে ২৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে সামরিক জান্তা নিয়ন্ত্রিত মিয়ানমারের আদালত। যদিও মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী এই নেত্রী তার বিরুদ্ধে আনা সব ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

জান্তা-নিয়ন্ত্রিত মিয়ানমার ডিজিটাল নিউজে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, ডাও অং সান সু চি ভালো আছেন। সাবেক নেত্রীর ক্ষেত্রে সম্মানসূচক শব্দ ব্যবহার করা হলেও বিবৃতিতে তার শারীরিক অবস্থার কোনও প্রমাণ কিংবা বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়নি।

আরিস বলেন, ২৮ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া কয়েক ধাপের নির্বাচন তার মায়ের দুর্দশা লাঘবের একটি সুযোগ এনে দিতে পারে। যদিও বহু বিদেশি সরকার এই নির্বাচন সামরিক শাসনকে বৈধতা দেওয়ার উদ্দেশ্যে সাজানো বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।

-এমএমএস