আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:৪২ পিএম
থাইল্যান্ডে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন ২০২৬ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন।
সোমবার দেশটির নির্বাচন কমিশন এক বিবৃতিতে জানায়, নির্বাচন কমিশন বিস্তারিত খসড়া প্রস্তুত করে প্রধান কমিশনারের কাছে প্রস্তাব উপস্থাপন করেছে। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৬ নির্বাচন হবে বলে তিনি সম্মতি জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আগাম ভোট গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১ ফেব্রুয়ারি।
এরআগে কম্বোডিয়ার সঙ্গে সীমান্তে নতুন সংঘর্ষের মধ্যেই গত শুক্রবার থাইল্যান্ডের সংসদ ভেঙে দিয়েছেন মাত্র তিন মাস আগে দায়িত্ব নেওয়া দেশটির প্রধানমন্ত্রী আনুতিন চার্নভিরাকুল।
এক রাজকীয় ডিক্রিতে তিনি জানিয়েছেন, ‘তিন মাস আগে তার সংখ্যালঘু সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে সীমান্তে প্রাণঘাতী সংঘর্ষসহ নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে আসছে। উপযুক্ত সমাধান হলো সংসদ ভেঙে দেওয়া…যা হবে জনগণের কাছে রাজনৈতিক ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার একটি উপায়’।
ব্যবসায়ী থেকে রাজনীতিক হওয়া আনুতিন ২০২৩ সালের অগাস্টের পর থেকে থাইল্যান্ডের তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী। সেপ্টেম্বর মাসে তিনি যখন ক্ষমতায় আসেন তখনই জানুয়ারির শেষ নাগাদ সংসদ ভেঙে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। মূলত অনাস্থা ভোটের মুখে নির্বাচনের সময় আরও এগিয়ে আনলেন তিনি।
গত মাসে দক্ষিণ থাইল্যান্ডের ভয়াবহ বন্যা মোকাবিলায় ব্যর্থতার কারণে আনুতিন ও তার ভূমজাইথাই পার্টি তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছিল। ওই বন্যায় অন্তত ১৭৬ জনের মৃত্যু হয়।
প্রসঙ্গত, গত এক বছর ধরে থাইল্যান্ডে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলমান। এই সময়ে দুইজন প্রধানমন্ত্রীকে পদচ্যুতও করেছে দেশটির আদালত। এরমধ্যে নৈতিকতা লঙ্ঘনের অভিযোগে আনুতিনের পূর্বসূরি পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে অপসারণ করা হয়। সিনাওয়াত্রার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, ফাঁস হওয়া এক ফোন কলে কম্বোডিয়ার সাবেক নেতা হুন সেনকে তিনি ‘চাচা’ বলে সম্বোধন করেন এবং থাই সেনাবাহিনীর সমালোচনা করেছিলেন। তার আগের নেতা স্রেত্তা থাভিসিনকেও নৈতিকতা লঙ্ঘনের দায়ে বরখাস্ত করা হয়। থাভিসিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তিনি তার মন্ত্রিসভায় এমন একজন সাবেক আইনজীবীকে নিয়োগ দিয়েছিলেন যিনি একসময় জেলে ছিলেন।
সূত্র: এএফপি
এমএইচআর