আন্তর্জাতিক ডেস্ক
০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:৪১ পিএম
যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞায় ভয়াবহ অর্থনীতিক সংকটে রয়েছে ইরান। এরমধ্যেই মার্কিন ডলারের বিপরীতের ইরানি রিয়ালের দাম রেকর্ড দরপতন হয়েছে। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) খোলা বাজারে এক ডলারের বিনিময় হার প্রায় ১২ লাখ রিয়াল নির্ধারণ করেন দেশটির ব্যবসায়ীরা।
বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে বলা হয়, ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে পারমাণবিক আলোচনা থমকে যাওয়ার কারণেও ইরানি রিয়ালের দাম কমছে, তাই ব্যবসায়ীরা নতুন বিনিময় হারের প্রস্তাব দিয়েছেন। রিয়ালের এ দরপতন ইরানের সাধারণ মানুষের ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। দেশটিতে ইতিমধ্যে মাংস, ভাত এবং অন্যান্য প্রধান খাদ্য পণ্যের দাম বেড়েছে, যা দৈনন্দিন জীবনকে আরও চ্যালেঞ্জিং করে তুলছে।
এরমধ্যে দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে ইরানের আবারও যুদ্ধ বাধতে পারে এমন আশঙ্কা করছেন সাধারণ মানুষে। গত ১২ জুন ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরু হয়। যা ১২ দিন স্থায়ী ছিল।
আলী মোশতাগ নামে ৫৩ বছর বয়সী এক ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ার এপিকে বলেছেন, ‘সাধারণ মানুষের জীবন শুধুমাত্র আরও কঠিনই হবে না, নিষেধাজ্ঞার কারণে বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ কমে যাওয়ার সরকারের হাতে পুরোনো অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতের জন্য পর্যাপ্ত সম্পদ আছে কিনা তা নিয়ে জনসাধারণের মাঝে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরানের অর্থনীতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, বিশেষ করে ২০১৮ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একতরফাভাবে তেহরানের পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করার পর থেকে। তখন এক ডলারের বিপরীতে ৩২ হাজার রিয়াল পাওয়া যেত।
সর্বশেষ বিনিময় হার অনুযায়ী- বাংলাদেশি এক টাকায় ১০ হাজার ৭০০ ইরানি রিয়াল পাওয়া যাবে। তবে ইরানে ১০ হাজার রিয়ালের মূল্য খুবই কম, এমনকি দেশটিতে সকালের সাধারণ নাস্তা খেতেই কমপক্ষে ৫০ হাজার ইরানি রিয়াল খরচ করতে হয়।
সূত্র: এপি
এমএইআর