আন্তর্জাতিক ডেস্ক
৩০ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:৩৫ এএম
ইউক্রেনে রাশিয়ার বিমান ও ড্রোন হামলায় ছয় জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন দেড়শ’র বেশি। কিয়েভে গ্রিডে হামলার কারণে ব্যাপক বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দেয়। জরুরি ভিত্তিতে ৪ লাখেরও বেশি পরিবারের বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনঃস্থাপন করা হয়েছে।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রি সাইবিহা সামাজিক মাধ্যম এক্সে লিখেছেন, যখন বিশ্ব শান্তি আলোচনা নিয়ে ব্যস্ত, রাশিয়া তার যুদ্ধ পরিকল্পনা অনুযায়ী হত্যা ও ধ্বংস চালিয়ে যাচ্ছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জানিয়েছেন, হামলায় রাশিয়া প্রায় ৩৬টি ক্ষেপণাস্ত্র এবং প্রায় ৬০০টি ড্রোন ব্যবহার করেছে। কিয়েভে দুইজন নিহত হয়েছেন। রাজধানী ও আশপাশের অঞ্চলগুলোতে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিচকো জানান, ২৯ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে অনেকের ওপর ড্রোন প্রতিরোধের সময় ধ্বংসাবশেষ পড়ে।
কিয়েভ মিলিটারি অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের প্রধান টিমুর টকাচেঙ্কো বলেন, ‘রাশিয়া পুরো পরিবারকেই লক্ষ্যবস্তু করছে।’
ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত কাটারিনা ম্যাথেরনোভা বলেছেন, ‘বিশ্ব শান্তিচুক্তি নিয়ে আলোচনা করছে, মস্কো উত্তর দিচ্ছে ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে, কূটনীতি নয়।’
একই সময়ে, জেলেনস্কির আলোচক দল যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছে ‘সম্মানজনক শান্তি’ ও যুদ্ধ দ্রুত শেষ করার জন্য। দলটি নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রাক্তন প্রতিরক্ষা প্রধান রুস্তেম উমেরভ।
সামাজিক মাধ্যমে এক্সে জেলেনস্কি লিখেছেন, ‘লক্ষ্য স্পষ্ট: যুদ্ধ শেষ করার জন্য পদক্ষেপ দ্রুত নির্ধারণ করা।’
মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব মার্কো রুবিও, বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ও ট্রাম্পের জামাই জারেড কুশনার রোববার ফ্লোরিডায় ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
ইউক্রেনে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে পুরোদমে হামলা শুরু করে রাশিয়া। কিন্তু ইউক্রেনের পূর্ব দিকের দনবাস অঞ্চলে মূলত ২০১৪ সাল থেকে সরকারি সেনাদের সঙ্গে বিদ্রোহীদের সংঘাত চলছে। বিদ্রোহীদের সহায়তা দিচ্ছে রাশিয়া। লুহানস্ক ও দোনেৎস্ক—এই দুই প্রশাসনিক অঞ্চল নিয়ে দনবাস গঠিত। লুহানস্কের প্রায় পুরোটা রুশ সেনারা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন। দোনেৎস্কের অধিকাংশ অঞ্চলও রুশ সেনাদের দখলে। শান্তিচুক্তির জন্য রাশিয়ার অন্যতম প্রধান দাবি, দনবাসের পুরোটা রাশিয়ার হাতে ছেড়ে দিতে হবে। বিনিময়ে ইউক্রেনের অন্যান্য অঞ্চলের দখলকৃত ভূখণ্ড ছাড়বে রাশিয়া।
যুদ্ধের এই পর্যায়ে ইউক্রেনের আশাবাদী হওয়ার মতো কোনো পরিস্থিতি নেই। বর্তমানে রণক্ষেত্রের পাশাপাশি প্রশাসনিকভাবেও নানা সমস্যায় জর্জরিত ইউক্রেন।
এমআর