আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২৫ নভেম্বর ২০২৫, ১২:০৫ পিএম
বাংলাদেশে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ভারতে পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে ফেরত চেয়ে ভারতকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ।
গত শুক্রবার (২১ নভেম্বর) চিঠিটি পাঠানো হলেও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রোববার (২৩ নভেম্বর)।
তার তথ্য মোতাবেক, চিঠি পাঠানোর পর এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোনও জবাব আসেনি ভারতের পক্ষ থেকে। নয়াদিল্লি সরকারি ভাবে এ পর্যন্ত এই চিঠি নিয়ে কোনও মন্তব্যও করেনি।
তবে, ভারত কোনও মন্তব্য না করলেও এ অবস্থায় বিষয়টি নিয়ে একটি বিশ্লেষণ প্রকাশ করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন। যেখানে শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে নয়াদিল্লির ভাবনা অনেকটাই স্পষ্ট হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে পাঠানো হলে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করবে দেশটির সরকার। আর এ কারণেই হাসিনাকে এ মুহুর্তে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে আগ্রহী নয় ভারত।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, গত প্রায় এক যুগ ধরে ভারতের সবচেয়ে তাবেদার আঞ্চলিক মিত্রদের একজন ছিলেন শেখ হাসিনা।
ক্ষমতায় থাকাকালে তার সরকার ভারতবিরোধী বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোকে দমনে অন্যতম প্রধান সহায়ক ছিল, যারা বাংলাদেশের ভূখণ্ডকে নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহার করত।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এর আগে দুই দেশের বিস্তৃত সীমান্ত সুরক্ষিত রাখার জন্য একাধিকবার শেখ হাসিনার প্রশংসাও করেছিলেন।
কিন্তু, এখন তার সরকারের পতন হওয়ায় নয়াদিল্লিতে বড় ধরনের এক নিরাপত্তা উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। ভারত আশঙ্কা করছে, ইসলামপন্থী গোষ্ঠীগুলো আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে শেখ হাসিনার সরকারের অনুপস্থিতিতে।
বাংলাদেশে কর্মরত ছিলেন এমন একজন ভারতীয় কূটনীতিক অনিল ত্রিগুণায়েত। তিনি বলেন, নয়াদিল্লি শেখ হাসিনাকে কারাজীবন বা মৃত্যুদণ্ডের মুখোমুখি হতে নিজ দেশে ফেরত পাঠাবে, সে বিষয়ে তার (অনিলের) যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।
বাংলাদেশের সাবেক এই নেত্রী এরই মধ্যে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
এটি ভারতকে এমন একটি সম্ভাব্য ভিত্তি তৈরি করার সুযোগ দিচ্ছে, যাতে তারা বলতে পারে, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো ছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
ভারতের প্রত্যর্পণ আইন এবং বাংলাদেশের সঙ্গে দেশটির প্রত্যর্পণ চুক্তির ভিত্তিতে অন্তর্বর্তী সরকার শেখ হাসিনার বিচারের জন্য তাকে ফেরত পাওয়ার আশা করছে।
-এমএমএস