images

আন্তর্জাতিক

যুদ্ধবিরতির পর গাজায় ৬৭ শিশু নিহত: ইউনিসেফ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২২ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:৪৬ এএম

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর গত এক মাসে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৬৭ ফিলিস্তিনি শিশু নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশু সংস্থা ইউনিসেফ।

শুক্রবার জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে ইউনিসেফের মুখপাত্র রিকার্ডো পিরেস বলেন, নিহতদের মধ্যে রয়েছে বৃহস্পতিবার দক্ষিণ গাজার খান ইউনুসে বিমান হামলায় নিহত এক মেয়ে শিশুও রয়েছে। এর আগের দিন ইসরায়েলের একাধিক হামলায় মারা যায় আরও সাত শিশু। সূত্র: আল জাজিরা।

রিকার্ডো পিরেস বলেন, ‘এটা যুদ্ধবিরতির মধ্যেই ঘটছে। চিত্রটা ভয়াবহ।’ তার ভাষায়, ‘এসব সংখ্যা নয়’ প্রতিটি ছিল একটি শিশু, একটি জীবন।’

২০২৩ সালের অক্টোবরে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গাজায় ৬৪ হাজারের বেশি শিশু হতাহত হয়েছে বলে আগের হিসাবে বলেছে ইউনিসেফ।

সেভ দ্য চিলড্রেন জানায়, চলতি বছর প্রতি মাসে গড়ে ৪৭৫ শিশু আজীবন শারীরিক প্রতিবন্ধকতার শিকার হচ্ছে। সংস্থাটির মতে, গাজা এখন ‘আধুনিক ইতিহাসের সবচেয়ে বড় শিশু অঙ্গহানি ভুক্তভোগীর এলাকা।’

গাজার মানবিক পরিস্থিতিও ক্রমেই অবনতির দিকে। ইসরায়েলের অব্যাহত নিষেধাজ্ঞার কারণে খাদ্য, চিকিৎসা ও আশ্রয়সামগ্রী প্রবেশে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। ক্ষুধাজনিত কারণে শিশুদের মৃত্যুর ঘটনাও বাড়ছে।

এই সপ্তাহে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজায় নতুন করে কয়েক দফা হামলা চালায়। এতে অন্তত ৩২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়। ইসরায়েল দাবি করে, খান ইউনুসে তাদের সেনাদের ওপর গুলির ঘটনার জবাবেই এই হামলা। তবে হামাস বলেছে, এসব হামলা ‘বিপজ্জনক উসকানি’ এবং এটি ‘গণহত্যা পুনরায় শুরুর ইঙ্গিত’।

ডাক্তারস উইদাউট বর্ডারস (এমএসএফ) জানায়, গাজায় নারী ও শিশুসহ বহু আহত ব্যক্তিকে তারা চিকিৎসা দিয়েছে-যাদের কারও হাত-পায়ে খোলা হাড় বেরিয়ে এসেছে, কারও মাথায় গুলির ক্ষত। এক এমএসএফ নার্স জানান, ড্রোন থেকে ছোড়া গুলিতে আহত ৯ বছরের এক শিশুকেও তারা চিকিৎসা দিয়েছেন।

গাজা সিটির আল-শিফা হাসপাতালের রোগী মোহাম্মদ মালাকা বলেন, হামলার পর চোখ খুলে দেখেন তার বাবা ও ভাইয়েরা রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছে। চারদিকে মানুষের চিৎকার, তাবুগুলো ছাই হয়ে গেছে।’

ইউনিসেফ বলছে, শীতের মৌসুমে বাস্তুচ্যুত লাখো শিশু খোলা আকাশের নিচে বা বন্যায় প্লাবিত অস্থায়ী তাঁবুতে রাত কাটাচ্ছে। পিরেস বলেন, ‘গাজায় শিশুদের জন্য কোথাও নিরাপদ জায়গা নেই।’

এমআর