আন্তর্জাতিক ডেস্ক
০৪ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:১৫ পিএম
গৃহযুদ্ধ শেষ হওয়ায় জার্মানিতে আশ্রয় নেওয়া সিরীয় শরণার্থীদের নিজ দেশে ফিরে যেতে হবে বলে জানিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিশ ম্যার্ৎস। সিরীয় শরণার্থীরা ফিরে যেতে রাজি না হলে, তাদের জোরপূর্বক ফেরত পাঠানো হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
সোমবার জার্মানির উত্তরাঞ্চলীয় শহর হুসুম সফরে গিয়ে এসব কথা বলেছেন জার্মান সরকারপ্রধান।
অভিবাসন ইস্যুতে মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে থাকা ম্যার্ৎস বলেন, ‘দীর্ঘ ১৩ বছরের ভয়াবহ গৃহযুদ্ধের অবসান হয়েছে সিরিয়ায়। এখন জার্মানিতে আশ্রয় নেওয়ার আর কোনো কারণ নেই।’
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘যারা দেশে (সিরিয়া) ফিরতে অস্বীকার করবে, আমরা অবশ্যই তাদের বহিষ্কার করব।’
অন্যদিকে, গত বৃহস্পতিবার সিরিয়ার দামেস্ক সফরে গিয়ে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োহান ওয়াদেফুল বলেছেন, ‘যুদ্ধের ফলে সিরীয়ার বেশিরভাগ অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে, যার কারণে সিরীয়দের ফিরে আসার সম্ভাবনা খুবই সীমিত।’
জার্মান চ্যান্সেলর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পরস্পরবিরোধী বক্তব্য ক্ষমতাসীন দল সিডিইউ-কে আবারও চাপে ফেলতে পারে বলে শঙ্কা করা হচ্ছে। এমনিতেই ক্ষমতাসীন দলটি অভিবাসনবিরোধী অতি-ডানপন্থি দল এএফডির চাপে রয়েছে।
সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারাকে জার্মানি সফরে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে জানিয়ে ম্যার্ৎস আরও বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে সমাধান খুঁজে বের করতে পারি।’
যুদ্ধ থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে দেশ পুনর্গঠনে এখন সিরীয়দের প্রয়োজন বলে মনে করেন জার্মান চ্যান্সেলর। তাই অনেক সিরীয় স্বেচ্ছায় নিজ দেশে ফিরে যাবেন বলেও বিশ্বাস করেন তিনি।
বর্তমানে প্রায় ১০ লাখ সিরীয় জার্মানিতে বসবাস করছেন। তাদের বেশিরভাগই ২০১৫ ও ২০১৬ সালে যুদ্ধ থেকে পালিয়ে জার্মানিতে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
সূত্র: এএফপি/ইনফোমাইগ্রেন্টস
এমএইচআর